রাজ্যে শুরু হয়েছে আংশিক লকডাউন। কোভিড আবহে কাজ হারিয়ে কারখানার গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হলেন কাজ হারানো শ্রমিকরা।মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার অধীন একটি বেসরকারি কারখানার সামনে প্রায় ২০০ঠিকা শ্রমিক কাজ হারিয়ে প্রতিবাদে কারখানার গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। শ্রমিকদের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ ফোনে তাঁদের জানিয়ে দিয়েছে মঙ্গলবার থেকে আর কাজে আসার দরকার নেই, অথচ বাইরে থেকে ২০০ জনকে কাজে নিয়ে তাঁদের জায়গায় নিয়ে আসা হচ্ছে। মঙ্গলবার কারখানা কর্তৃপক্ষের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কাজ হারানো শ্রমিকরা বাইরের শ্রমিকদেরও কারখানার ভিতর ঢুকতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ, বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে দেয় তাঁদের, যতক্ষণ না কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের পুনরায় কাজে বহাল করছে ততক্ষণ তাঁরা এই বিক্ষোভ জারি রাখবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কাজ হারানো শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, এই কোভিড আবহে যদি তাঁদের কাজ চলে যায়, তাহলে তো পরিবার পরিজনকে নিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া তাঁদের কাছে আর কোন পথ খোলা থাকবে না। কারখানা কর্তৃপক্ষ এই প্রসঙ্গে কোনরকম প্রতিক্রিয়া দিতে চায়নি। অন্যদিকে এই বেসরকারি কারখানার তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা দুর্গাপুর নগর নিগমের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দীপেন মাজি কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ হারানো শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমাদের শাঁখের করাতের মতো অবস্থা, যেখানে এগোলেও সমস্যা আর পিছলেও বিপদ। বেশী চাপ দিলে কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দিলে তখন নতুন বিপদ চলে আসবে।’ বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্তের অভিযোগ, এমনটা হওয়ারই ছিল তবুও এই সঙ্কটময় আবহে যাতে এই শ্রমিকদের কাজ না চলে যায় তার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।