দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের আলাউদ্দিন খান বীথির একটি বাড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা বিসিসিএলের এক কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করল সিটি সেন্টার ফাঁড়ির পুলিশ। মৃত ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়ার বাসিন্দা বিশ্বনাথ নাগের সঙ্গে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের আলাউদ্দিন খান বীথির মৌসুমী ভট্টাচার্যের তিন বছর আগে আলাপ হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। তারপর মৌসুমীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে বিশ্বনাথের। তিন দিন আগে বাড়িতে অফিসের কাজে কলকাতা যাচ্ছি বলে বিশ্বনাথ ঝরিয়া থেকে বাইকে করে দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে বের হয়। দু’দিন বিশ্বনাথ দুর্গাপুরের আলাউদ্দিন খান বীথিতে মৌসুমীর বাড়িতে থাকে।
জানা গেছে, মৌসুমী ভট্টাচার্য্য বিবাহিতা। স্বামীর নাম শান্তনু ভট্টাচার্য্য। মঙ্গলবার বিকেলে মৌসুমী ও শান্তনু ভট্টাচার্য্যের বাড়ি থেকে বিশ্বনাথের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসালয়ে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বিশ্বনাথকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই ভট্টাচার্য্য দম্পতি তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ওই দম্পতির বয়ানে অসঙ্গতি দেখে মৌসুমী ও শান্তনু ভট্টাচার্য্যকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার রাতেই। এবং বিশ্বনাথ নাগের পরিবারকে খবর দেয়। মৃত বিশ্বনাথ নাগের বোন পুতুল নাগ পরিবার পরিজনদের সঙ্গে নিয়ে দাদার রহস্যময় মৃত্যুর খবর শুনে বুধবার দুর্গাপুরে ছুটে আসেন।
পুতুলদেবীর দাবি ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয়ের পর দাদার সমস্ত অর্থ আত্মসাৎ করে দাদাকে মৌসুমী ও শান্তনু পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে। পুতুলদেবী দাদার খুনিদের ফাঁসির দাবি জানান। বিবাহিতা মহিলা মৌসুমী ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ জমিয়ে তিন বছর ধরে প্রেম করে চলে দাদার সঙ্গে। তারপর তিনদিন আগে বিশ্বনাথের বাইকে দুর্গাপুরে ছুটে আসা এবং রহস্যময় মৃত্যু। সব মিলিয়ে পুলিশ বেশ ধোঁয়াশায় রয়েছে। বিশ্বনাথের বাইকটিরও এখনও খোঁজ মেলেনি। পুলিশ এই রহস্যময় মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে।