পুলিশের আবেদনে সাড়া দিয়ে ডিএসপি কর্মী জেমস থমাসের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত জেমসের স্ত্রী শার্লি ও তাঁর বড় মেয়ে আনুষাকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা আদালত সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল। জেমসের মৃত্যুর দিনই সোমবার রাতে জেমসের দিদি রাচেলের লিখিত অভিযোগ পেয়ে পুলিশ জেমসের স্ত্রী শার্লি ও তাঁর বড় মেয়ে আনুষাকে আটক। মঙ্গলবার রাতে দু’জনের বয়ানের অসঙ্গতি ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বিস্তর ফারাক দেখে গ্রেফতার করে। বুধবার দুর্গাপুর থানার পুলিশ শার্লি ও আনুষাকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে নিতে দুর্গাপুর আদালতে হাজির করে।
উল্লেখ্য, রবিবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার কর্মী জেমস থমাস নিজের মোবাইল থেকে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে পুলিশের উদ্দেশ্যে নিজের মৃত্যুর আশঙ্কা করে মৃত্যুর জন্য স্ত্রী ও বড় মেয়েকে দায়ী করেন। সোমবার ভোরে জেমস থমাসের রহস্যজনক ভাবে মৃতদেহ পাওয়া যায় তাঁর দয়ানন্দ রোডের বাড়ি থেকে। এই ঘটনায় জেমসের দিদি ও ডিএসপি কারখানার সহকর্মীরা জেমসের রহস্য মৃত্যুতে স্ত্রী ও বড় মেয়েকে গ্রেফতারের দাবি জানান। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে।