দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের নির্দেশে দুর্গাপুর লায়ন্স ক্লাবের চিকিৎসায় গাফিলতিতে শিশু মৃত্যর ঘটনায় পুর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হল। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. স্বস্তিকা ব্যানার্জি দুর্গাপুর লায়ন্স ক্লাব কেয়ার সেন্টারে তদন্তে যান। এদিকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ অভিযুক্ত হোমিওপ্যাথ চিকিৎসক অভিজিৎ কুন্ডুকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির করলে আদালত অভিযুক্তকে তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ডিসিপি (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, কেবলমাত্র অভিযুক্ত নয় লায়ন্স ক্লাবের সমস্ত নথীর বৈধতা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিকে অভিযুক্ত হোমিওপ্যাথ চিকিৎসকের সঙ্গে সঙ্গে লায়ন্স ক্লাব কেয়ার সেন্টারের পরিচালক মন্ডলীর বিরুদ্ধে রোগী নিয়ে ছেলে খেলা করার অপরাধে এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। এলাকার মানুষ চিকিৎসকের সঙ্গে সঙ্গে লায়ন্স ক্লাব কর্তৃপক্ষেরও শাস্তি দাবি করছে। স্থানীয় বস্তি সহ এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ আন্তজার্তিক সেচ্ছাসেবী সংস্থা হয়েও লায়ন্স ক্লাব কেয়ার সেন্টারে গরীব মানুষের কাছে ভ্যাকসিন, চক্ষু অস্ত্রোপচার, সব ক্ষেত্রেই বাজারের দরে টাকা নেওয়া হয়। অথচ লায়ন্স ক্লাব কর্তৃপক্ষ একজন অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ টিকাকরণের জন্য রাখেনি। এদিকে শিশু দুটির অকাল মৃত্যুতে দুর্গাপুর জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।