২০১৫ সালে দুর্গাপুরে এক ঠিকাদার খুনের মামলায় জড়িত এক পেশাদার খুনিকে রাজস্থানের জোধপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে নিয়ে এসে সোমবার দুর্গাপুর আদালতে তুললো সিআইডি। বিচারক গোপাল রামের ৮ দিনের সিআইডি হেপাজতের নির্দেশ দেন। জানা গেছে গোপাল রাম নামের এই অপরাধী এতদিন রাজস্থানের জোধপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দী ছিল। তার আর এক সহযোগী গজেন্দ্র সিং এখনও জোধপুর সেন্ট্রাল জেলে বন্দী। এই দুই অপরাধীর সন্ধান পায় সিআইডি গত ২৩ জুন আর এক অপরাধী পাপ্পু রামকে ধরার পর। ২০১৫ সালে দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানার ইস্পাত পল্লির এক ভাড়া বাড়িতে খুন হন উত্তরপ্রদেশ নিবাসী রামদেও বেদা নামের এক ঠিকাদার। এই খুনের জন্য গোপাল রাম ও গজেন্দ্র সিং কে সুপারি দিয়ে ছিল পাপ্পুই সে কথা স্বীকার করে সিআইডির কাছে। একই ভাবে পাপ্পুর কথাও জানতে পারে সিআইডি দীপক চৌহানকে গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে এরা সকলেই সিআইডির হেপাজতে রয়েছে।
২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল দুর্গাপুরের বিধান নগরে খুন হন কন্ট্রাক্টর রামদেও বেদা। পুলিশ খুনের কুল কিনারা না খুঁজে পেলে খুনীদের ধরতে সিআইডি দায়িত্ব পায়। সি আইডি প্রথমেই ধরে দীপক চৌহান নামের এক অপরাধীকে। দীপককে জেরা করে পাপ্পু রাম থেকে গোপাল ও গজেন্দ্র সিং-এর সন্ধান পায়। সকলেরই ডেরা রাজস্থানে। জানা গেছে, গোপাল একজন পেশাদার ধুরন্ধর সুপারিকিলার। উত্তর প্রদেশে, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের একাধিক খুন, ধর্ষণ ডাকাতিতে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা চলছে। যে কোন অপরাধ করার জন্য সিদ্ধহস্ত গোপাল। প্রশাসন গোপালকে ধরার জন্য মাথার দাম রাখে ১৪ লাখ টাকা। কখনও অরুণ কখনও ঝুনিয়া আবার কখনও রাহুল রাম নামেও বিভিন্ন রাজ্যে গোপাল অপরাধ করে বেড়াত। সিআইডি একের পর এক অপরাধীদের ধরে ঠিকাদার রামদেও বেদার খুনের মামলাকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাও্যায় মৃত রামদেও বেদার পরিজনরা দোষীদের কড়া শাস্তির আশায় বুক বাঁধছেন।