স্ত্রীর উপর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী স্বামী, এলাকায় উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবারে। জানা গেছে, তিন মাস হয়েছিল দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতালে ঠিকা কর্মী হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন ৩৪ বছরের সৌভিক দাস। ইস্পাত নগরীর বি-জোন এডিসনের বাসিন্দা সৌভিকের স্ত্রীর উপর নানাভাবে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি অর্থাৎ সৌভিকের বাবা-মা অত্যাচার করতেন বলে পাড়া-পড়শিদের অভিযোগ। যার নির্মম পরিণতি হয় বুধবার রাতে। স্ত্রীর উপর বাবা-মায়ের অত্যাচার আর সহ্য করতে পারেনি সৌভিক দাস। অভিযোগ, সেই রাতেই গায়ে আগুন দেয় সৌভিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সৌভিককে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় সৌভিকের।
সৌভিকের মৃত্যুর খবর আসা মাত্রই দুর্গাপুরের এডিসন রোডে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তেজিত স্থানীয় বাসিন্দারা সৌভিকের স্ত্রী ও পাঁচ বছরের দুই যমজ কন্যা সন্তানের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবিতে সৌভিকের ঘরের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। এলাকাবাসীর দাবি, সৌভিকের বাবা মায়ের শাস্তি চাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ, উত্তেজিত জনতার হাত থেকে পুলিশ সৌভিকের বাবা-মাকে উদ্ধার করতে এলে স্থানীয়দের প্রবল বাধার মুখে পড়ে পুলিশ, শেষমেশ তাঁদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে শান্ত করে পুলিশ। কিন্তু পড়শিরা সাফ জানিয়ে দেয়, যতক্ষণ না সৌভিকের স্ত্রী ও পাঁচ বছরের দুই যমজ কন্যা সন্তানকে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা নিজেদের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরবেন না। গোটা ঘটনাতে শুক্রবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ইস্পাত নগরীর এডিসন এলাকায়, অশান্তি এড়াতে সৌভিকের বাড়ির সামনে রয়েছে পুলিশ। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।