ক্যাপ সম্পূর্ণ ভাবে সিল করা। ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট মার্চ ২০১৯, এক্সপায়ারি ডেট ফেব্রুয়ারি ২০২১। কিন্তু ওষুধের শিশির ক্যাপ খুলে যেই বাড়ির ছোট্ট সোনার মুখে ঢালতে যাবেন, গৃহকর্তা দেখেন ছোট্ট সোনার বমির ওষুধে দলা দলা কিছু রয়েছে। পরখ করে দেখেন ওষুধের মধ্যে রয়েছে গাদা গাদা মরা পিঁপড়ে। সিল করা শিশির ভিতর ওষুধে মরা পিঁপড়ে দেখে তো গৃহকর্তার মাথায় হাত। যদিও শেষমেশ গৃহকর্তা তাঁর ছোট্ট সোনাকে ওই বমির ওষুধ আর খাওয়ান নি।
এর পর যে দোকান থেকে ওই বমির ওষুধটি কেনা হয় সেই দোকানদারকে জানানো হয় বিষয়টি। কিন্তু ওষুধটির শিশি যেহেতু সিল করা ছিল তাই ওষুধের দোকানদার সমস্ত দায় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার উপর চাপিয়ে সংশ্লিষ্ট ওষুধের শিশিটি বদলে নতুন আর একটি শিশি দিয়ে দেন। যদিও এরপর আর কোনপক্ষই কোন ঝুটঝামেলায় যাননি। তথাপি প্রত্যেকের উচিত দোকান থেকে ওষুধ কিনে মুখে ঢালার আগে ভাল করে পরখ করে নেওয়া।
ওষুধের দোকানদার বলেন, ‘সিরাপ জাতীয় ওষুধের ক্ষেত্রে বিভিন্ন দোকানে মাঝেমধ্যেই এই ধরণের অভিযোগ আসছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও আমরা কোন ফল পাচ্ছি না। অথচ ক্রেতারা আমাদের দোষারপ করেন। কিন্তু ওষুধের শিশি যদি সিল করা থাকে তাহলে আমাদের আর কি করার আছে? যেভাবে ওষুধ সাপ্লাই হয় আমরা তাই কিনে বিক্রি করি মাত্র।’
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?