স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য নাম নথিভুক্ত করতে দুর্গাপুরে উপচে পড়ল ভিড়। ধাক্কা ধাক্কি সামলাতে লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। নাম নথিভুক্ত করাতে ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন মানুষজন। সঙ্গে ছিল কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধরা। বেলা গড়িয়ে গেলেও লাইন একচুলও এগোয়নি বলে অভিযোগ। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে উতপ্ত হয়ে ওঠে দুর্গাপুরের সিধু কানু স্টেডিয়াম চত্ত্বর। অবস্থা সামাল দিতে নামানো হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

সোমবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের সিধু কানু স্টেডিয়ামে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করাতে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করতে আসা ববিতা রাউত নামে এক মহিলার অভিযোগ, ভোর থেকে পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, অথচ লাইন একচুলও গড়ায়নি। চরম বিশৃঙ্খলা চলছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করার লাইনে। প্রচুর লোকজন। নেই সামাজিক দুরত্ব বা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার তাগিদ। ববিতা রাউত বলেন, ‘আমরা গরীব মানুষ। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটা পেলে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুযোগ পাবো, এই আসায় আমার পাঁচ বছরের মেয়েকে না খাইয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। উল্টে পুলিশ লাঠিচার্জ করছে লাইন ঠিক করতে।’

এই বিষয়ে দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ রাখি তেওয়ারি বলেন, ‘শুনলাম একটু সমস্যা হয়েছে আজ। আসলে প্রথম দিকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত হচ্ছিল। কিন্তু তখন লোকজন হচ্ছিল না। কিন্তু এখন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করতে খুব ভিড় হচ্ছে। তাই সিধু কানু স্টেডিয়ামে নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে। সোমবার প্রয়োজনীয় সংখ্যার বেশি লোকজন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ায় একটু সমস্যা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকে এই সমস্যা আর হবে না। মঙ্গলবার থেকে পাঁচশ জন করে মানুষকে টোকেন দেওয়া হবে, তারপর সেই মতো স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নাম নথিভুক্ত করা হবে। এতে কোন বিশৃঙ্খলা আর হবে না। চিন্তার কিছু নেই। তাড়াহুড়ো করারও দরকার নেই। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের পাশে দাঁড়াতে এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করার সুযোগ দিচ্ছেন। তাই এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করার প্রক্রিয়া এখন টানা চলতে থাকবে।’

Like Us On Facebook