সৌখিনপ্রিয় বাঙালির সৌখিনতায় কোন খামতি নেই। শীতকালীন ফুলের চারা ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে বর্ধমান শহরে। চারা বিক্রেতারা খুশি। চারা সংগ্রহে আগ্রহীদের ভিড় বাড়ছে শীতকালীন ফুলের চারার দোকানগুলিতে। চারা ক্রেতাদের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে দোকানের সংখ্যাও বাড়ছে বর্ধমানের বিভিন্ন প্রান্তে। ফুলের জাতের ওপর ভিত্তি করে চারার দাম নির্ধারণ করা হয়। রকমভেদে প্রতিটি চারার দাম পড়ছে ৫-১৫০ টাকা।
বি সি রোডে ফুলের চারা বিক্রেতা দিলিপ মিস্ত্রী বর্ধমান ডট কমকে বলেন,”শীতের মরসুমে নানা রঙের বাহারি ফুলের চারা ও বীজের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কালিপুজোর পর থেকেই আমাদের বাজার উঠতে শুরু করে এবং এটা চলবে জানুয়ারি পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের মতো এবারও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সৌখিনপ্রিয় বাঙালির চাহিদা মেটাতে চারা আনতে হচ্ছে আরামবাগ, বাগনান, জিরাট, পূর্বস্থলি ইত্যাদি জায়গা থেকে। এই মরসুমে খুচরো চারা বিক্রির পাশাপাশি বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাগান সজ্জার জন্য প্রচুর অর্ডার আসছে। প্রতিদিন ৭-৮ হাজার টাকার চারা বিক্রি হচ্ছে।”
সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লেডি বার্ড, গ্ল্যাডিওলাস, ক্যালেন্ডুলা, বেবিডল, পানসি, গাঁদা, গোলাপ, মোরগফুল, চন্দ্রমল্লিকা, ডালিয়া, কসমস, জিনিয়া প্রভৃতি। চারাগুলির দাম খুব সস্তা হওয়ায় সবাই কিনতে পারছে। এমনকি মাত্র ৫ টাকাতেও ভালো প্রজাতির ফুলের চারা মিলছে। পুজোর মাসখানেক আগে থেকেই চাষিরা শীতকালীন ফুলের চারার জোগান দিতে চারা তৈরির কাজ শুরু করে দেন।
ক্রেতা সূর্য সেন বলেন,”আমি ২০০ টাকার ফুলের চারা নিলাম। আমাদের এই আবহাওয়ায় গাঁদা ফুল খুব সুন্দর হয়। আজ বেশ কয়েক প্রজাতির গাঁদার চারা নিলাম বাড়ির বাগানের জন্য। এইসময় বি সি রোড সহ জি টি রোডে উন্নত মানের চারা পাওয়া যায় এবং দামেও সাশ্রয়ী হওয়ায় এখানে এসেছি।”