২ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুর তামলা নালার জলে ভেসে ওঠা অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহের পরিচয় পেল পুলিশ। মৃত বস্তাবন্দি মহিলার নাম সোনিয়া মিদ্যা। শ্বশুর বাড়ি দুর্গাপুর বেনাচিতির মহিস্কাপুর প্লট। বাপের বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দুমকা। স্বামীর নাম রাজেশ মিদ্যা। পেশায় ফার্মাসিস্ট। শ্বশুরের নাম মালিন্দ্য মিদ্যা ও শ্বাশুড়ির নাম কুন্তি মিদ্যা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজ গৃহবধু সোনিয়া মিদ্যার খুনের অভিযোগে সোনিয়ার স্বামী রাজেশ মিদ্যা, শ্বশুর মালিন্দ্য মিদ্যা ও শ্বাশুড়ি কুন্তি মিদ্যাকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ তিন জনকেই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সোনিয়া মিদ্যার পড়শী শর্মিষ্ঠা বাগদির দাবি, নিখোঁজ গৃহবধু সোনিয়া মিদ্যা শ্বশুর মালিন্দ্য মিদ্যার তন্ত্র সাধনার শিকার। সোনিয়াকে মালিন্দ্য মিদ্যা খুন করে তামলার জলে ভাসিয়ে দিয়েছে। ষড়যন্ত্রে জড়িত সোনিয়ার স্বামী রাজেশ, শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। শর্মিষ্ঠার দাবি, বাড়িতে তন্ত্র সাধনা করত মালিন্দ্য মিদ্যা। তুকতাক করত বৌমাকে। বিয়ের পর থেকেই সোনিয়ার উপর শারীরিক নির্যাতন চালাত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বামী রাজেশও অত্যাচার করত। শর্মিষ্ঠা বাগদির দাবি, সোনিয়া কলে জল নিতে এসে এই সব অভিযোগ করত শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বেশ কিছু দিন ধরে সোনিয়া নিখোঁজ ছিল। জিজ্ঞাসা করলে মিদ্যা পরিবার বলত, সোনিয়া বাপের বাড়ি গেছে। আবার বাপের বাড়ির লোকজনদের বলত সোনিয়া কারোর সঙ্গে পালিয়ে গেছে। কিন্তু শর্মিষ্ঠা বাগদিরা বুধবার মিদ্যা পরিবারকে চেপে ধরতেই ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়ে। এদিকে সোনিয়ার বাপের বাড়ির লোকজনও এসে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে।