এক গৃহবধূর আত্মহত্যাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল কাঁকসার বনকাটি অঞ্চলের বাগাল পাড়ায়। মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ, পলাতক শ্বশুর। মৃতার বাবা ধনঞ্জয় বাগদির অভিযোগ, দু’বছর আগে পাড়ারই এক যুবকের সাথে প্রণয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়। বাড়ির অমতে তাঁর মেয়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর মেয়ে হাজার ৩০ টাকা চায়। সেই মত তাঁকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও মেয়ে বারবার টাকা চাইতে থাকে তাঁর কাছে।
ধনঞ্জয়বাবু জানান, তাঁর মেয়ে জানিয়েছিল, শশুরবাড়ির সদস্যরা টাকার দাবি করতো ও তাঁর স্বামী নিত্যদিন মদ খেয়ে এসে তাঁকে মারধর করতো টাকার জন্য। মৃতার বাবার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের আগেও অনেকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে বছর কুড়ির মৃতা পায়েল সিং। নিত্যদিন অত্যাচারের মাত্রা বাড়তে থাকায় অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে পায়েল। শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে খবর পেয়ে মেয়েকে বাড়িতে শোয়ানো অবস্থায় দেখে তাঁকে দ্রুত দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। শুক্রবার মৃতার বাবা মেয়ের উপর অত্যাচারের ফলে মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয় অভিযোগ তুলে কাঁকসা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে কাঁকসা থানার পুলিশ স্বামী কিরণ সিং, শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেফতার করে। শনিবার অভিযুক্ত স্বামী, শাশুড়ি ও ননদকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পাঠায় কাঁকসা থানার পুলিশ।