দুর্গাপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় লরিচালকদের মারধর করে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিল একদল যুবক। বুধবার মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের গ্রাফাইট কারখানার সামনে। এই ঘটনায় এক জন লরি চালক গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হন় ও কয়েকজন আহত হন। খবর পেয়ে কোকওভেন থানার পুলিশ অগ্নিদগ্ধ ও গুরুতর আহত লরিচালকদের উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
জানা গেছে, গ্রাফাইট কারখানার সামনে স্থানীয় কিছু যুবক বিভিন্ন ধরণের চাঁদার রসিদ নিয়ে কারখানায় আগত ভিন রাজ্যের লরি চালকদের চমকিয়ে নিয়মিত মোটা অঙ্কের তোলা তোলে। বুধবারও একই ভাবে স্থানীয় যুবকরা মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে কারখানায় মাল নিয়ে আসা লরি চালকদের কাছে চাঁদার রসিদ ধরিয়ে দিয়ে তোলা চাইলে লরি চালক নিরঞ্জন শাহ, হরবিন্দর সিং, প্রদীপ সিং, কুলবিন্দর সিং ও লক্ষণ সিং রুখে দাঁড়ালে ওই যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং লরি ভাঙচুর ও লরি চালকদের মারধর করে। এরপরও লরি চালকরা তোলা দিতে অস্বীকার করলে লরি চালকদের পুড়িয়ে মারতে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই যুবকরা। এই ঘটনায় একজন লরিচালক গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হন। পেট্রোলে ভিজলেও অন্য লরি চালক ও খালাসিরা অগ্নিদগ্ধ না হলেও কম-বেশি আহত হযন সকলেই। লরি চালক নিরঞ্জন শাহ গুরুতর অগ্নিদগ্ধ হন। নিরঞ্জন শাহের বাঁ কাঁধ ও পিঠের কিছু অংশ পুড়ে যায়। এই ঘটনায় দুর্গাপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। লরি চালক হরবিন্দর সিং হুমকি দেন, ‘আমরা ভিন রাজ্য থেকে গ্রাফাইট কারখানার বিভিন্ন মাল আনা নেওয়া করি। এভাবে চাঁদার নামে নির্মমভাবে জুলুম বাজি করলে এর পর আর আমরা দুর্গাপুরে লরি নিয়ে ঢুকব না।’
কয়েক মাস আগে দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন এক হোটেল মালিক এক ভবঘুরে খাবার চাওয়ায় ভবঘুরের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পর পর এই ধরনের দুটি ঘটনা ঘটায় দুর্গাপুরের সুশীল সমাজ নিন্দায় মুখর হন়। পুলিশ প্রশাসনকে দোষীদের শীঘ্রই ধরে কড়া শাস্তির দাবি জানান়।