দুর্গাপুরের বীরভানপুর মহাশ্মশানের দুটি বৈদ্যুতিক চুল্লি আছে। একটি প্রায় তিন মাস ধরে খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। যেটি ভাল ছিল সেটিও অত্যাধিক চাপ পড়ায় গত ১৬ আগস্ট বিকেল থেকে খারাপ হয়ে পড়ে। ফলে শ্মশানে শবদাহ করতে আসা মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বলে অভিযোগ। বর্ষায় দাহ কাজ সারতে শশ্মান যাত্রীদের চড়া দামে ভিজে কাঠ কিনে শবদাহের কাজ করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে। ফলে মাত্র পঁয়তাল্লিশ মিনিটের বৈদ্যুতিক চুল্লির দাহ কাজ সারতে তিন থেকে চার ঘন্টা পর্যন্ত সময় লেগে যাচ্ছে বলে অভিযোগ শ্মশান যাত্রীদের।
বিষয়টি দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থিকে জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। পুরসভার পক্ষ থেকে চুল্লি মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। বীরভানপুর মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের অভিযোগ, দুর্গাপুর পুরসভার উদাসীনতায় এইভাবে দীর্ঘ দিন ধরেই একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর একটির উপর ক্রমাগত ভাবে চাপ পড়ায় সেটিও খারাপ হয়ে গেল। দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র দিলীপ অগস্থি জানিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব বৈদ্যুতিক চুল্লি দুটি সারানোর প্রক্রিয়া চলছে।