স্কুলের পরিকাঠামো সব ঠিকঠাক থাকলেও স্কুলে ঠিকমত ক্লাস হয়না, ফলে পড়ুয়ারা আড্ডায় মেতে থাকে। স্কুলে নেই পানীয় জলের সুব্যবস্থা। নোংরা জলে মিড-ডে মিলের রান্না হওয়ার ফলে পড়ুয়ারা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। সবুজ সাথী বা কন্যাশ্রী বা সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না। তাছাড়া প্রধান শিক্ষক সহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে স্কুলে গরহাজির সহ একগুচ্ছ অভিযোগে ‌সোমবার দুর্গাপুরের ২ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিজড়া হাইস্কুলে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখালেন। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়।

স্কুলের পড়ুয়াদের কাছ থেকে পঠন-পাঠন সহ গুচ্ছগুচ্ছ অভিযোগ শুনে সোমবার অভিভাবকরা সমস্যাগুলি প্রত্যক্ষ করতে বিজরা হাইস্কুলে যান। স্কুলে গিয়ে অভিভাবকরা জানতে পারেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুলে নেই। এরপরেই অভিভাবকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। স্কুলে ঠকমত পঠন-পাঠন কেন হয় না বা নোংরা জলে কেন মিড-ডে মিল রাঁধা হয় এবং স্কুলের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে কেন ব্যর্থ এইসব প্রশ্ন নিয়ে স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে অভিভাবকদের মধ্যে বচসা বাধে বলে জানা গেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাজী নাজিমউদ্দিন সেই সময় স্কুলে উপস্থিত হন। অভিভাবকরা তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান বলে জানা গেছে।

প্রধান শিক্ষক কাজী নাজিমউদ্দিন স্কুলের সব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে শেষমেশ বিক্ষোভরত অভিভাবকরা শান্ত হন। প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘স্কুল পড়ুয়াদের তুলনায় শিক্ষক সংখ্যা কম। সম্প্রতি ছ’জন শিক্ষক অবসর নেওয়ায় সব ক্লাস নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া দুর্গাপুর পুরসভার পানীয় জলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের স্কুলে নোংরা জল আসার কথা বলেও কোন ফল হয় নি। শীঘ্রই আমরা মিটিং করে স্কুলের সমস্ত সমস্যার সমাধান করে নেওয়ার চেষ্টা করব।’

বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?

Like Us On Facebook