ভোট পরবর্তী হিংসায় যখন শাসক-বিরোধী দলের দলীয় কার্যালয় দখল-পুনর্দখলের ছবি দেখা যাচ্ছে, তখন দুর্গাপুরের ফরিদপুর গ্রামে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। শাসকদলের দলীয় কার্যালয়ে কে বা কারা বিজেপির দলীয় চিহ্ণ এঁকে দিয়েছে দেখে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মীদের মধ্যে বিজেপি দলীয় কার্যালয় দখল করেছে বলে অভিযোগ তোলা হয় তখন স্থানীয় বিজেপি নেতা নিরঞ্জন মন্ডল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে, বিজেপির পক্ষ থেকে এই কাজ করা হয় নি। এরপর অশান্তি এড়াতে বিজেপির ওই নেতা বিজেপি কর্মীদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে হাজির হয়ে বিজেপির পদ্মফুল সিম্বল মুছে দেন। বিজেপি নেতার এই রাজনৈতিক সৌজন্যতা দেখে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা সহ দুর্গাপুরের সুশীল সমাজ তাঁকে ধন্যবাদ জানান। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ৩৩ নং ওয়ার্ডের ফরিদপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে স্থানীয় মানুষ দেখেন গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ের দেওয়ালে তৃণমূল কংগ্রেসের সিম্বল মুছে দিয়ে কেউ বা কারা বিজেপির সিম্বল এঁকে দিয়েছে। এই ঘটনার খবর চাউর হতেই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা ছুটে আসেন দলীয় কার্যালয়ে। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা দেবাশীষ মাজি অভিযোগ করে বলেন, ‘বিজেপি ভোট পরবর্তী সময়ে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে এইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়গুলি দখল করছে।’
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা যখন বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করছেন, তখন তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সাদা রংয়ের বালতি নিয়ে উপস্থিত হলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা নিরঞ্জন মন্ডল। নিরঞ্জনবাবু তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় যে বিজেপি দখল করেনি সেই আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে বিজেপির প্রতীক চিহ্ণ এঁকে বিজেপির বদনাম করে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি করার চক্রান্ত করছে।’ বিজেপি নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের দলীয় কার্যালয় নিজেদের মতো করে চালান।’ অশান্তি এড়িয়ে শান্তির বার্তা দেওয়ায় বিজেপি নেতার এই সৌজন্যতায় মুগ্ধ হন তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগকারী নেতা সহ দুর্গাপুরের সুশীল সমাজ এবং বিজেপি নেতা নিরঞ্জন মন্ডলকে ধন্যবাদ জানান।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?