দুর্গাপুরে নিত্য নতুন কায়দায় একের পর এক চুরি ও কেপমারির ঘটনা এখন রোজ নামচা। এবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের ২/১৭ নন্দলাল বিথীর এক বাড়িতে সত্তরোর্ধ চৈত্রালী ভট্টাচার্যকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বছর পঁচিশের এক যুবক ভুল বুঝিয়ে এক ভরি করে দুই হাতের দুই ভরির সোনার বালা দুটি নিয়ে চম্পট দেয়।
জানা গেছে, চৈত্রালিদেবী ওই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন। মেয়ে মহুয়া ভট্টাচার্য স্কুল শিক্ষিকা। ঘটনার সময় মহুয়া ভট্টাচার্য স্কুলে ছিলেন। চৈত্রালি ভট্টাচার্য বলেন, ‘হঠাৎ করে এক যুবক এসে বলে আমি বিনামূল্যে সোনা পরিষ্কার করি। আপনার সোনার চুরি দুটি দিন আমি পরিষ্কার করে দিই। চুড়ি দুটি দিতেই ওই যুবক একটি হলুদ জলের মিশ্রণে বালা দুটি ডুবিয়ে দেয়।’ এরপর বলে, ‘মাসিমা পনেরো মিনিট পর আমি চলে গেলে মিশ্রণ থেকে চুড়ি দুটি তুলে নেবেন।’ এরপরেই ওই যুবক চলে গেলে চৈত্রালি ভট্টাচার্য দেখেন তার চুড়ি দুটি খোয়া গেছে। ঘটনার কথা চৈত্রালি ভট্টাচার্য্যর মেয়ে মহুয়া ভট্টাচার্য জেনে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশ তদন্তে নেমে পাড়ার সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র থেকে চোর ধরার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর চৈত্রালি ভট্টাচার্যর পড়শীরা খবর নিতে ছুটে আসেন তাঁর বাড়িতে। তাঁরা বলেন, ‘এই ঘটনাই কেবল নয় এর কয়েক মাস আগে মৌলানা আজাদ সরণিতে এক শিক্ষিকার বাড়িতেও একই ধরণের ঘটনা ঘটে। পড়শীরা বলেন নন্দলাল বিথীর বেশিরভাগ বাড়িতে বয়ষ্করা থাকেন। সুযোগ বুঝে চোরেরা সুকৌশলে বাড়িতে ঢুকে ভুল বুঝিয়ে সোনার গহনা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। পড়শীরা পুলিশী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।