দুর্গাপুরের সিআরপিএফ ক্যাম্পে গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আহত অনেক। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেও সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষ আহত বেলুন বিক্রেতার চিকিৎসার কোন দায়িত্ব না নেওয়ায় চরম দুরবস্থায় পড়েছেন বেলুন বিক্রেতা সুভাষ মাঝির পরিবার। সুভাষবাবুর বাড়ি স্টিল টাউনশিপ এ-জোনের সেকেন্ডারি রোডে।
সুভাষ মাঝির স্ত্রী দেওয়ান্তী মাঝির অভিযোগ, সিআরপিএফ জওয়ানরা ১ আগস্ট গ্যাস বেলুনের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আহতদের সঙ্গে স্থানীয় আইকিউ সিটি হাসপাতালে ভর্তি করলেও সিআরপিএফের উচ্চ পদস্থ কর্তারা সকলের খোঁজ খবর নিলেও আমার স্বামী সিভিলিয়ান বলে সিআরপিএফ কর্তারা চিকিৎসার খরচ দেননি। এমনকি খোঁজ খবর পর্যন্ত নেননি। ইতিমধ্যে আইকিউ সিটি হাসপাতাল প্রথম দিনেই ২২ হাজার টাকা চিকিৎসা খরচ নিয়েছে। দেওয়ান্তীদেবী বলেন, বাধ্য হয়ে খরচ বাঁচাতে আমরা আমার স্বামীকে রাজবাঁধের গৌরীদেবী হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
দেওয়ান্তীদেবী আরও বলেন, আমার স্বামীর পা দুটি গুরুতর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্যয় বহুল চিকিৎসা করলে তবেই পা দুটি ঠিক হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সুভাষ মাঝির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সুভাষবাবু আগে ট্রাক চালাতেন। পরে ট্রাক চালানো ছেড়ে বেলুন বিক্রির ব্যবসা শুরু করেন। বাড়িতে দুই মেয়ে ও এক ছেলে। সংসার বাঁচিয়ে কিভাবে সুভাষ মাঝির স্ত্রী স্বামীর চিকিৎসা করাবেন সেই ভেবেই চরম দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। এই বিষয়ে সিআরপিএফ কর্তৃপক্ষের সাফ জবাব, বেলুন ওয়ালার দায়িত্ব সিআরপিএফ নেবে না।