এবার দুর্গাপুরে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিভিন্ন পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন। বর্ধমান সার্কিট হাউসে জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন-এর উদ্যোগে পিএসসি ছাড়াও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা চালু আছে বেশ কয়েকমাস ধরে। প্রতি শনিবার বিকেল ৪টা থেকে সার্কিট হাউসে এই ক্লাস চলছে। ক্লাস নেন জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন ও পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল সহ কর্পরেট সংস্থার আধিকারিকরা। এবার দুর্গাপুরে দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন-এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরার উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে এই ধরণের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের অফিসে ‘কেরিয়ার গাইডেন্স সেন্টার’ নামে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নতুন বছরের শুরুতেই চালু হবে বলে জানা গেছে। ১৮ ডিসেম্বর এক প্রবেশিকা পরীক্ষার মাধ্যমে ৫০ জন দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াকে নির্বাচিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে। ১৫ নভেম্বরের মধ্যেই সরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশিকা পরীক্ষা সম্বন্ধে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। বিভিন্ন কলেজগুলিকেও এবিষয়ে জানান হবে। প্রাথমিকভাবে WBCS ছাড়াও অন্যান্য Group A Services যেগুলিতে পিএসসির মাধ্যমে রিক্রুট করা হয় সেইসব পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত করা হবে পড়ুয়াদের। এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস হবে, Soft Skill Development -এর দিকেই বেশি নজর দেওয়া হবে। পিএসসির মাধ্যমে নির্বাচিত আধিকারিকরা ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এসে পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন,”আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবী পড়ুয়ারা যাতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য পেতে পারে তার উদ্যোগ নিচ্ছি। আমি দুর্গাপুরে অনেক দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র দেখেছি যারা অর্থনৈতিক কারণে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় পিছিয়ে যায়। সকল প্রকার সাহায্য করে তাদেরকে এগিয়ে দেওয়াই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই কেন্দ্রের দরিদ্র মেধাবী ছাত্রদের জন্য স্কলারশিপের ব্যবস্থা করা হবে। এবিষয়ে কর্পোরেট সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। এই ধরণের প্রশিক্ষণ বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন অনেকদিন আগেই চালু করেছেন। আমি তাঁর এই কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে দুর্গাপুরে কেরিয়ার গাইডেন্স সেন্টার নামে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলতে চলেছি। তিনি সবরকম সহযোগিতা করছেন। আমি আশা করছি আমাদের এই উদ্যোগে স্থানীয় মেধাবী পড়ুয়ারা উপকৃত হবে।”