জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের অধীনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় শুরু হল সরকারী অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। ১০২ ডায়াল করলেই শিশু, গর্ভবতী ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মিলবে এই পরিষেবা। বৃহঃস্পতিবার এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা সভাধিপতি দেবু টুডু ও জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব কুমার রায়, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সুকুমার বসাক, বর্ধমান হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ ও জেলা পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল সহ অন্যান্যরা।
জিপিএস সিস্টেম যুক্ত এই অ্যাম্বুলেন্সে থাকছে সম্পূর্ণ আধুনিক পরিষেবা। থাকছে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহায়কও। জেলা প্রশাসনের তরফে জানা গেছে, এই অ্যাম্বুলেন্সগুলি ২৪ ঘন্টাই মানুষকে পরিষেবা দেবে। আপাতত জেলায় মোট ৪৮ টি এই ধরণের অ্যাম্বুলেন্স কাজ করবে। বাড়ি থেকে হাসপাতাল, এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতাল ও হাসপাতাল থেকে বাড়ি বিনামূল্যে রোগী বহনের কাজ করবে এই সব অ্যাম্বুলেন্স। প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্সে একজন চালক, সহকারি চালক, অ্যাটেনডেন্ট এবং তাঁর সহকারি সহ মোট ৪জন থাকবেন। অ্যাম্বুলেন্সে থাকছে প্রাথমিক চিকিৎসার যাবতীয় বন্দোবস্তও। ২৩টি ব্লক ও ৬টি পুরসভা এলাকায় থাকবে এই ৪৮টি অ্যাম্বুলেন্স। প্রাথমিকভাবে প্রসূতি মা ও শিশুদের জন্য বরাদ্দ হলেও জেলা পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল জানিয়েছেন, বিশেষ কোন ঘটনার ক্ষেত্রেও আবেদন বিচার করে এই অ্যাম্বুলেন্সকে তাঁরা কাজে লাগাতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশকে ৫টি অ্যাম্বুলেন্স প্রদান করেছে। এগুলি ২নং জাতীয় সড়ক বরাবর থাকছে। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, জিপিএস সিস্টেম থাকায় এই অ্যাম্বুলেন্সগুলিকে ২৪ ঘন্টাই মনিটরিং করা যাবে। সাম্প্রতিককালে রোগী পরিষেবার ক্ষেত্রে অ্যাম্বুলেন্সের অবৈধ কারবার নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে সরকারি এই নিশ্চয়যানের ক্ষেত্রে এই সমস্যা থাকছে না। অ্যাম্বুলেন্সে জিপিএস সিস্টেম থাকায় হাসপাতাল থেকে রোগীকে অন্যত্র নিয়ে গেল তৎক্ষণাৎ তা জানতে পারা যাবে। একইসঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলায় নিখরচায় এই ৪৮টি অ্যাম্বুলেন্স চালু হওয়ার ফলে অন্য অ্যাম্বুলেন্সেরও অবৈধ দাপট অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।