দুর্গাপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের মানবিকতায় ২৬ জন বিপন্ন যুবক নতুন জীবন ফিরে পেল। কারোর বয়স ২২ আবার কারোর ২৩ অথবা ২৪। সকলেই ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য দুর্গাপুরের নেহেরু স্টেডিয়ামে এসেছিল। কেউ কেউ কেবল অসচ্ছল পরিবার সচ্ছল করতে আবার কেউ এসেছে দেশ সেবার টানে। সকলেই মোটা টাকার বিনিময়ে দালাল মারফৎ সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে বাড়ির কষ্টার্জিত লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়েছে দালাল চক্রের পান্ডাকে। কিন্ত শেষ রক্ষা হলো না, বৃহস্পতিবার সেনা আধিকারিকরা সেনাবাহিনীতে নিয়োগের পরীক্ষায় অংশ নিতে আসা বিহার ও ঝাড়খন্ডের কছু পরীক্ষার্থীকে জাল শংসাপত্র সমেত আটক করে মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুরের ডেপুটি কমিশনার (ইস্ট) অভিষেক মোদী পার্শ্ববর্তী রাজ্য থেকে আসা ধৃত ২৬ জন কর্মপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনা করে আপদকালীন ভিত্তিতে পুরো ঘটনার তদন্তে নেমে ধৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক মোবাইলের সূত্র ধরে দালাল চক্রের মুল পান্ডা বিহারের ছাপড়ার রনজিৎ সিং কে দুর্গাপুরের একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের বিশেষ টিম। পুলিশ দালাল চক্রের মুল পান্ডা কে ধরে কর্মপ্রার্থী ২৬ জনকে ছেড়ে দেয় তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা বিবেচনা করে। ধৃত ২৬ জনই ছাড়া পেয়ে দুর্গাপুর পুলিশকে কুর্নিশ জানায় এই সুবিচার পেয়ে। দুর্গাপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অভিষেক মোদী বর্ধমান ডট কম কে বলেন, ‘২৬ জন যুবকই অপরাধের শিকার তাই জীবনের গুরুত্ব বুঝে ওদের ছেড়ে দিয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি পাইয়ে দেবার নাম করে দালাল চক্রের মুল পান্ডা রনজিৎ সিং কে বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’ পুলিশ রনজিৎ সিংকে জেরা করে দালাল চক্রের মাথাদের খোঁজ পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে এবং ছেলেদের অন্য কোন উদ্দেশ্যে সেনা বাহিনিতে যোগ দেওয়ানো হচ্ছিল কিনা সেই বিষয়টিও পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বলে সূত্র মারফৎ জানা গেছে।
Like Us On Facebook