আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন দুর্গাপুর পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বুধবার ভোর রাতে দুর্গাপুর থানার অন্তর্গত গোপাল মাঠের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত‍্যু কালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। নিখিল বাবুর স্ত্রী, এক পুত্র ও এক কন্যা বর্তমান। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ নিখিলবাবুর মরদেহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে রাখা থাকবে। পুত্র বিদেশে থাকয় এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে। তৃণমূল কংগ্রেস শিল্পাঞ্চলের কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখার্জী বলেন, নিখিলবাবুর পুত্র এলেই শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রাক্তন এডিডিএর চেয়ারম্যানের মরদেহ তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় কার্যালয় ও আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদে নিয়ে যাওয়ার পর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

প্রয়াত নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় একজন চিকিৎসক ছিলেন। নিজের পেশার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সেনানী হিসাবে নিজেকে নিয়োজিত করেন। নিজের ভাবমূর্তির জোরে ২০১১ সালে দুর্গাপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট পেয়ে নিখিলবাবু জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালে নিখিলবাবুকে এডিডিএ’র চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তারপরও তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মিটিং মিছিলে নিখিলবাবুকে দেখা গেলেও ২০১৬’র বিধানসভা নির্বাচনে দলের টিকিট না পাওয়ার় পর দলীয় কর্মসূচি থেকে কার্যত নিখিলবাবু নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। বুধবার নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়ের আকস্মিক প্রয়াণে দুর্গাপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

Like Us On Facebook