এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ রাসায়নিক সার কারখানা পানাগড়ের ম্যাটিক্স ফার্টিলাইজারকে শুক্রবার থেকে কোল বেড মিথেন গ্যাস উৎপাদক সংস্থা এসার এনার্জি তার উৎপাদিত সমস্ত মিথেন গ্যাস সরবরাহ করার কথা ঘোষণা করায় মহাসঙ্কটে পড়েছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের ছোট বড় বেশ কিছু কলকারখানা। কোল বেড মিথেন গ্যাস মূলত ব্যবহার করা হয় লৌহ ইস্পাত কারখানার ইন্ডাকশন ফার্নেস ও রিরোলিং মিলের উৎপাদনের কাজে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা, অ্যালয় স্টিল কারখানা, গ্রাফাইট, এসআরএমবি সহ দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের প্রায় ২২টি কারখানার ফার্নেস চালানোর জন্য কোল বেড মিথেন গ্যাস সরবরাহ করত এসার এনার্জি।
পানাগড়ের ম্যাটিক্স ফার্টিলাইজারকে মিথেন গ্যাস সরবরাহ করার সাথে সাথেই দুর্গাপুরের সমস্ত কলকারখানা মিথেন সরবরাহ বন্ধ করে দিল এসার। ফলে পুজোর মুখে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের বেশ কিছু কারখানা মহাসঙ্কটে পড়ল। উৎপাদন বন্ধের আশঙ্কায় রয়েছে শিল্পাঞ্চলের প্রায় দশ হাজার শ্রমিক। ছোট ও মাঝারি বেসরকারি কলকারখানাগুলির শ্রমিকরা কাজ হারানোর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
এসার কর্তৃপক্ষ জানায়, চুক্তি মত ম্যাটিক্স সার কারখানাকে এসার তার উৎপাদিত সমস্ত কোল বেড মিথেন গ্যাস সরবরাহ করতে দায়বদ্ধ। এদিকে মিথেন সরবরাহ বন্ধ করার তিন মাস আগে নোটিশ না দেওয়ার অভিযোগে এসারের বিরুদ্ধে চুক্তি ভঙ্গ করার অভিযোগ করল ইন্ডাকশন ফার্নেস ও রিং রোলিং মিল অ্যাসোসিয়েশন। অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা বলেন, আগে ফার্নেস চালানোর জন্য ফার্নেস অয়েল ব্যবহার করা হত। মিথেন গ্যাস ফার্নেস অয়েল এর থেকে অনেকটাই সস্তা পড়ে। তাই এসার দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের উৎপাদন শুরুর পর থেকেই কলকারখানা গুলি মিথেন গ্যাস ব্যবহার করছে। পুজোর মুখে শিল্পাঞ্চল দুর্গাপুরের কলকারখানাগুলিতে মিথেন গ্যাসের সঙ্কটে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনও উদ্বিগ্ন। দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক শঙ্খ সাঁতরা বর্ধমান ডট কমকে জানান, সমস্যার সমাধান সূত্র খুঁজে বের করার জন্য এসার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে শীঘ্রই এক বৈঠকে বসবেন।