বুদবুদের পর ফের বাঁকুড়া থেকে দুটি হাতি দামোদর পেরিয়ে মঙ্গলবার ভোর রাতে দুর্গাপুরে ঢুকে দুর্গাপুরের রেলগেট ভেঙে শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় দাপাদাপি শুরু করল। খবর পেয়ে দুর্গাপুর বন দফতরের মূখ্য বনপাল মিলন কান্তি মন্ডলের নেতৃত্বে বনকর্মীরা দাঁতাল হাতির পিছু নেয়। বনদফতর সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। তবে একদিকে এলাকার বাসিন্দাদের হাতির আতঙ্ক গ্রাস করেছে তেমনি মানুষের ভিড়ে হাতি দুটিকে ফের বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরাতে কালঘাম ছুটছে বনকর্মীদের।
জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোর রাতে দামোদরের জলরাশি পেরিয়ে হাতি দুটি প্রথমে রেলগেট ভেঙে শিল্পাঞ্চল এলাকায় ঢোকে। এরপর স্টেশন বাজার কড়ঙ্গ পাড়া, এবিএল কলোনি ঘুরে বিধান নগর হয়ে বামুনাড়া যায়। এরপর হাতি দুটি দু’ভাগ হয়ে একটি হাতি বামুনাড়ার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে অপরটি আড়া শিবতলা মন্দিরের দিকে চলে যায়। এতদিন জঙ্গল এলাকায় দাঁতালের অনুপ্রবেশের খবর শুনলেও মঙ্গলবার সাত সকালে শহরের প্রাণকেন্দ্রে দুই হাতির দাপাদাপি দেখে সকলেই ভয়ে সিঁটিয়ে যায়। দুর্গাপুরে মুখ্য বনপাল মিলন কান্তি মন্ডল বলেন, হাতির আগমনে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোন খবর নেই। চেষ্টা করা হচ্ছে হাতি দুটিকে ফের বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরানোর। তবে অতি উৎসাহী মানুষের ভিড়ে হাতি দুটিকে ফেরাতে বনকর্মীদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে বলে দাবি মিলন বাবুর।
এদিকে গত প্রায় এক মাস ধরে বুদবুদের জঙ্গলে থাকা হাতিটি গত রবিবার এক হুলা পার্টির সদস্যকে আহত করেছিল সেই হাতিটিকেও এখনও পর্যন্ত বনকর্মীরা বাগে আনতে পারেনি বলে খবর। ওই হাতিটি ইতিমধ্যে বনদফতরের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বনদফতর সূত্রে জানা গেছে, এক হুলা পার্টি সদস্যকে আহত করার আগে হতিটি বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং আরামবাগে চারজনকে মেরে ফেলেছে। বন দফতর হতিটিকে ‘খুনে’ ঘোষণা করেছে। হাতিটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুঁড়ে কাবু করার চেষ্টা করছে বনকর্মীরা। প্রয়োজনে হাতিটিকে মেরে ফেলাও হতে পারে বলে জানা গেছে। এরমধ্যেই মঙ্গলবার ফের দুটি হাতি দুর্গাপুরে ঢুকে পড়ে বনদফতরের কর্মীদের মাথাব্যথা বাড়িয়ে তুলল।