petrolpump-bdnবর্ধমান হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে দূরদুরান্ত থেকে চিকিৎসা করতে এসে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। কি বলছেন তাঁরা শোনা যাক তাঁদের মুখে।

বিমল মাজি বাড়ি ওসিগ্রাম, ভাতার ব্লক। বিমল বলেন,”তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীকে ভর্তি করেন বর্ধমান হাসপাতালের ডেলিভারি ওয়ার্ডে। সারারাত তিনি হাসপাতালে ছিলেন। সকালে তিনি খাবার ও ওষুধ কিনতে যান। ৫০০ টাকার নোট দিলে কেউ আর নিতে চাইছে না। বর্ধমানে তাঁর চেনাজানা কেউ নেই যার কাছ থেকে কিছু খুচরো টাকা পেতে পারেন। ভীষণ সমস্যার সম্মুখিন হয়েছি।”

রাজকুমার হাজরা বাড়ি সিহিগ্রাম, মন্তেস্বর ব্লক। রাজকুমার বলেন,”তাঁর স্ত্রীকে গলব্লাডার অপারেশনের জন্য ভর্তি করেন বি.সি. রোডের একটি নার্সিংহোমে। ৫০০ টাকার নোটে নার্সিংহোমে পেমেন্ট করতে গেলে নার্সিংহোম স্টাফ নিতে অস্বীকার করছে। এমনকি কোন দোকানে ৫০০ টাকার নোট নিয়ে গেলে তারাও নিতে অস্বীকার করছে। খুচরোর অভাবে কিছুই খেতে পারছি না। চরম অসুবিধায় পড়েছি।”

আজ সকালে বর্ধমানে মাছের আড়ৎ-এর চিত্র।
ভোরবেলায় জেলার বিভিন্ন এলাকা সহ অন্য জেলা থেকেও মাছ চাষীরা মাছ নিয়ে বর্ধমান তেঁতুলতলা বাজারের বিভিন্ন আড়ৎ-এ মাছ বিক্রি করতে আসেন। সেখানে দেখাগেল মিশ্র চিত্র। কেউ ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটে পেমেন্ট নিলেন আবার কেউকেউ নিতে অস্বীকার করলেন। যারা নিলেন তাঁদের বক্তব্য,”এটা কাঁচামাল, ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। বাধ্য হয়ে নিতে হল।” তেঁতুলতলা বাজারের ডায়মন্ড ফিস সেন্টারের মালিক, মহম্মদ ফিরোজ বলেন,”আজ মাছ চাষীরা কেউ পেমেন্ট নিয়েছেন কেউ কেউ নিতে অস্বীকার করেছেন। বলেছেন পরে নেবেন।”

বর্ধমান শহরের চিত্র।
অন্যান্য দিনের মত আজ তেমন কেনাকাটা চোখে পড়ল না বর্ধমানের প্রধান মার্কেট বি.সি. রোডে। অধিকাংশ দোকান খোলা থাকলেও খরিদ্দারের দেখ মেলেনি। এমনকি খাবার ও মিষ্টির দোকানেও খরিদ্দারের আনাগোনা কম। বিপরীত চিত্র ধরা পড়ল পেট্রল পাম্পগুলিতে। পেট্রল নিতে লম্বা লাইন পড়ে যায় সকাল থেকে।

mall-dgpদুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের চিত্র।
জাংশন মল, বিগ বাজার, স্পেন্সার্স, কেএফসি সহ অন্যান্য শোরুমগুলিতে অন্যান্য দিনের তুলনায় বিক্রি ৩০-৪০ শতাংশ কম।
বেনাচিতি মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতা উভয়েই সমস্যার সম্মুখিন। ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট এখনেও পথের কাঁটা। বিক্রেতারা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিতে চাইছেন না সমস্যায় পড়েছেন ক্রেতারা। অপরদিকে মহাজনরাও দোকানদারদের কাছে ৫০০ ও ১০০০ টাকায় পেমেন্ট নিতে চাইছেন না।