জাতীয় সড়কের টোল প্লাজায় টোলট্যাক্স দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার দিন শেষ হতে চলেছে। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে দেশের জাতীয় সড়কের উপর সব টোল প্লাজায় বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে গাড়িগুলি দ্রুত অর্থ প্রদান করতে পারবে। এর ফলে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হবে না এবং টোল প্লাজায় যানজট এড়ানো যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ির সামনের কাচে আরএফআইডি(রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন) ভিত্তিক ট্যাগ ‘ফাস্ট্যাগ’ লাগানো থাকবে। টোল প্লাজায় লাগানো ক্যামেরা এবং সেন্সরের মাধ্যমে ফাস্ট্যাগ অ্যাকাউন্ট থেকে টোলের জন্য নির্ধারিত অর্থ কেটে নেওয়া হবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে গাড়িগুলিকে টোল দেওয়ার জন্য টোল প্লাজায় দাঁড়াতে হবে না।
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই দুর্গাপুরের বাঁশকোপা, বর্ধমানের পালসিট সহ বিভিন্ন টোল প্লাজায় কর্মীরা পথচলতি বিভিন্ন গাড়ির চালকদের ফাস্ট্যাগ সিস্টেম নিয়ে জানান দিচ্ছেন এবং এই বিষয়ে বিশদে জানাতে লিফলেট বিলি করছেন। কিন্তু এই ফাস্ট্যাগ সিস্টেমটা কি এবং এর সুবিধাই বা কি? এটি একটি অনলাইন আর্থিক লেনদেন পদ্ধতি যা চালু হতে চলছে টোল প্লাজা গুলিতে। একটি বিশেষ ধরনের আরএফআইডি চিপ গাড়ির সামনের কাচে লাগিয়ে দেওয়া হবে। এতে যখন গাড়ি টোল প্লাজা অতিক্রম করবে তখন লাইনে আর দাঁড়াতে হবে না। গাড়ি টোল প্লাজা দিয়ে নির্দিষ্ট গতিতে অতিক্রম করার সময় টোল প্লাজার সেন্সর সিস্টেমের মাধ্যমে ফাস্ট্যাগ স্টিকার স্ক্যান করে প্রয়োজনীয় টোল ট্যাক্স কেটে নেওয়া হবে স্বয়ংক্রিয় ভাবে।
এই ফাস্ট্যাগ স্টিকার বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, ই-কমার্স সাইট বা অভিন্ন পরিষেবা কেন্দ্রগুলি থেকে কেনা যাবে। এরপর ফাস্ট্যাগ অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট করে সেই অ্যাকাউন্ট রিচার্জ করে নিয়ে অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করে দেওয়া যাবে। এরপর ফাস্ট্যাগ স্টিকার লাগানো গাড়ি টোল প্লাজা অতিক্রম করার সময় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্ট থেকে নির্ধারিত টোলট্যাক্স কেটে নেওয়া হবে।