দুর্গাপুরের রাজীব গান্ধী ময়দানে প্রতি বছরের মতো এবারও বিজয়া দশমীর সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের অখিল ভারতীয় সাংস্কৃতিক পরিষদের উদ্যোগে অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির সূচনার উদ্দেশ্যে হরেক রকম আতশবাজিতে তৈরি রাবণ, কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদকে পোড়ানো হল।
এদিন প্রথমে অখিল ভারতীয় সাংস্কৃতিক পরিষদের কুশিলবরা মঞ্চে রামায়ণের নাটক উপস্থাপন করেন। রামায়ণের শেষ অঙ্কে রামচন্দ্র রাবণকে বধের পূর্ব মুহূর্তে সন্ধ্যা নামতেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের আধিকারিক ও প্রশাসনিক রাবণ বধের জন্য আতশবাজির মূর্তির সলতেয় আগুন ধরিয়ে দেন। এরপরেই একে একে রাবণ কুম্ভকর্ণ ও মেঘনাদ পুড়তে থাকে। সঙ্গে আকাশ জুড়ে রং-বেরংয়ের আতশবাজি ফাটতে থাকে। গোটা এলাকায় আতশবাজির রঙিন আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠে। প্রচুর দর্শক সেই সব দৃশ্য উপভোগ করতে থাকেন। এদিন রাবণ পোড়ার অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রচুর জন সমাগমের কথা মাথায় রেখে গোটা এলাকা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়।