বছর খানেক আগে দুর্গাপুরের কাঁকসায় প্রথম আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট বেয়াড়া গাড়ির গতি মাপতে স্পিডগান ব্যবহার শুরু করে। তার কিছু দিন পর দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়েও গাড়ির গতি মাপতে স্পিডগান ব্যবহার করে ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু তারপর পুলিশের ঢিলেঢালা ভাবে সেভাবে আর পুলিশকে স্পিডগান ব্যবহার করতে দেখা যায়নি দুর্গাপুরে।
সম্প্রতি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট শ্বাশতী সামন্তকে দুর্গাপুরের এসিপি ট্রাফিকের দায়িত্ব দিয়েছে। এসিপি (ট্রাফিক) শ্বাশতী সামন্ত দুর্গাপুরের পথ দুর্ঘটনা রোধ করতে কড়া ব্যবস্থা নিতে কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছেন। তারমধ্যে দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের যানজট নিরসনে সাব ট্রাফিক গার্ড বসানোর পরিকল্পনা, ভিড়িঙ্গী থেকে প্রান্তিকা পর্যন্ত মিনিবাসের নিয়ন্ত্রিত স্টপেজ তৈরি করে মোট আটটি যাত্রী প্রতিক্ষালয়, টোটো-অটো-মিনিবাসের নিত্য ঝঞ্ঝাট নিয়েও কিছু পরিকল্পনা ট্রাফিক ডিপার্টমেন্টের রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, মুচিপাড়া থেকে বিধাননগর পর্যন্ত ব্যস্ত রাস্তায় বসতে চলেছে স্প্রিং পোস্ট ও ব্লিঙ্কিং সোলার লাইট। স্প্রিং পোস্ট মূলত ডিভাইডারের কাজ করে। এর ফলে গাড়ির মুখোমুখি সংর্ঘষের ঘটনা কমবে বলে আশা। ওই স্প্রিং পোস্টে গাড়ি ধাক্কা মারলেও তার ক্ষতি হবে না। এসিপি ট্রাফিক শ্বাশতী সামন্ত বলেন, পথ দুর্ঘটনা রোধ করতে সচেতনতার উপর জোর দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার এসিপি ট্রাফিক দুর্গাপুরের বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শন করে বিভিন্ন রুটে গাড়ির গতি বেঁধে দেন। গাড়ির গতি নির্দেশ অমান্য করলে এবার গাড়ি চালকদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে। বৃহস্পতিবার ডিভিসি মোড় থেকে দুর্গাপুর স্টেশন যাওয়ার রাস্তায় এসিপি ট্রাফিক নিজের হাতে স্পিডগান ব্যবহার করে বিভিন্ন গাড়ির গতি মাপেন। পঞ্চাশ কিলোমিটারের বেশি গতিসম্পন্ন গাড়িগুলির চালকদের ধরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা সহ জরিমানা করা হয়। ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি প্রান্তিকায় মিনি বাস অটোর রেষারেষির জেরে এক মহিলা অটো যাত্রীর আঙুল খসে পড়ার ঘটনার কথা মাথায় রেখে ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট মিনিবাসগুলির গতির উপরও বাড়তি নজর রাখছে। ট্রাফিক ডিপার্টমেন্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, দুর্গাপুর ট্রাফিক পুলিশ পথ দুর্ঘটনা রোধ করতে বিভিন্ন এলাকার ট্রাফিক রুট ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে।