স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগী ফেরানোর অভিযোগ উঠছে বার বার। দুর্ঘটনায় আহত এক রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালগুলি ফিরিয়ে দেওয়ায় তাঁর বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের লোকজন। এরপর মৃতদেহ নিয়ে মৃতের পরিবারের লোকজন পথ অবরোধ করে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরপরেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসে।
আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্গাপুর মহকুমার সমস্ত নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলির কতৃপক্ষদের নিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিষয়ে জরুরী বৈঠক করে দুর্গাপুর নগর নিগম। পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. মোহম্মদ ইউনুস, দুর্গাপুর নগর নিগমের মহানাগরিক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, দুর্গাপুর নগর নিগমের কমিশনার ময়ূরী ভাসূ, মেয়র পারিষদ সদস্য (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারি সহ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে হয় এই জরুরি বৈঠক। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া সমস্ত রোগীরা যাতে চিকিৎসা পায়, পাশাপাশি কোন রোগীকে হাসপাতাল কতৃপক্ষ যাতে না ফেরায় সে বিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হয় নগর নিগমের পক্ষ থেকে।
এপ্রিলের ২ তারিখে দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের জব্বর পল্লী এলাকার পৌঢ় নির্মল মন্ডল পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে জেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ঘুরেও হয়নি চিকিৎসা। ৩ তারিখে মৃত্যু হয় তাঁর। সাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসা না পেয়ে ওই পৌঢ়ের মৃত্যুর পর পথ অবরোধ, বিক্ষোভ শুরু হয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা হয়নি এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন দুর্গাপুর নগর নিগমের মেয়র অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়। হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে সেই সমস্যাগুলো জানেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। সেই সমস্যাগুলি দ্রুত দূর করার আশ্বাস দিয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালের আধিকারিকরা।