নিজের জমানো টাকা থেকে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রাণ তহবিলে ১০০০ টাকা অর্থ সাহায্য করল দুর্গাপুরের এক স্কুল ছাত্রী। দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গী গালর্স হাই স্কুলের এই ছাত্রী বেনাচিতির দেশবন্ধু নগরের বাসিন্দা। নাম পূর্ণিমা প্রামাণিক। শনিবার ছিল পূর্ণিমার জন্মদিন। করোনা মোকাবিলায় লকডাউনে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। স্বাভাবিকভাবেই পূর্ণিমাও গৃহবন্দি। তাই সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেনে পূর্ণিমা এবার জন্মদিনে হই হুল্লোড় বন্ধ রেখে করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পে পাওয়া টাকা থেকে শনিবার ১০০০ টাকার চেক তুলে দেয় দুর্গাপুর পুরসভার ২ নং বরো চেয়ারম্যান রমা প্রসাদ হালদারের হাতে। ক্ষুদে পড়ুয়ার এই প্রয়াশ দেখে বরো চেয়ারম্যান রমা প্রসাদ হালদার পূর্ণিমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাকে উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়ার লক্ষ্যে অবিচল থাকতে উৎসাহিত করেন।
দুর্গাপুরের এসবি মোড় এলাকার শান্তিবনের বাসিন্দা শান্তনু মুখার্জীর ছেলে স্কুল পড়ুয়া শুভম মুখার্জী ও শনিবার তার জন্মদিনে বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান বাতিল করে সেই টাকায় বেশকিছু খাদ্যসামগ্রী চাল, ডাল, আলু, আটা, ময়দা কিনে দুর্গাপুর পুরসভার কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁইয়ের হাতে তুলে দেয় এবং নিজেও স্থানীয় দুস্থ মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট তুলে দেয়। শুমভ বলে, ‘আমি আমার বাবার কাছ থেকে এই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। প্রতি বছর আমার জন্মদিনে আমার বাবা আর আমি দুস্থ মানুষের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিই। আর এবছর আমার জন্মদিনে করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। এই দুঃসময়ে দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে হচ্ছে।’