মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম পূরণের জন্য লেট ফাইন দেওয়ার পরও অ্যাডমিট কার্ড মেলেনি বলে অভিযোগ ছাত্রের। আর সেই জন্য সোমবার জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে পারল না দুর্গাপুরের ইস্পাত নগরীর ইস্পাত পল্লীর বাসিন্দা তন্ময় হাজরা। তন্ময়ের পরিবারের লোকজন জানান, বিজরা হাইস্কুলের ছাত্র তন্ময় হাজরা জানুয়ারি ৩ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত এক প্রিয়জনের দুর্ঘটনার জন্য সময়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম পূরণ করতে পারেনি। পড়ে বিজরা স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে তাঁরা যোগাযোগ করলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, তাড়াতাড়ি লেট ফাইন জমা করে ফর্ম পূরণ করতে। সেই মোতাবেক ফর্ম পূরণ করে তন্ময়। তন্ময়ের রেজিস্ট্রেশনও হয়ে যায়, কিন্তু পড়ে শুরু হয় সমস্যা।
অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে তন্ময় জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হল। সোমবার তন্ময় ও তার পরিবার কাঁদতে কাঁদতে বিজরা স্কুলের পরীক্ষার সেন্টার ইস্পাত নগরীর মেঘনাথ সাহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসে। কিন্তু অ্যাডমিট না মেলায় পরীক্ষা সেন্টারে ঢুকতে পারেনি তন্ময়। পরিবারের অভিযোগ, ফোনে বিজরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজামউদ্দীন মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাঁর অসহায়তার কথা জানান। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে না পারার জন্য স্কুলের দায়িত্বজ্ঞানহীনতাকে দায়ী করেন তন্ময় ও তার পরিবারের সদস্যরা। তন্ময়ের বাবা হাবল হাজরা দিন মজুরের কাজ করে একমাত্র ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন, এরই মধ্যে ছেলে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে না পারার জন্য পরীক্ষা সেন্টারের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তন্ময়ের গোটা পরিবার। বিজরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজামউদ্দীন মন্ডল যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, দায় চাপিয়েছেন ছাত্রের পরিবারের কাঁধেই।