প্রথম দিনের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে বাকি আর মাত্র কয়েক মিনিট, পরীক্ষা কেন্দ্রে চলে এসেছেন মামড়া বাজারের স্বপ্না মার্কেট এলাকার বাসিন্দা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মিলি বার্নওয়াল। মিলি এমএএমসি’র মডার্ন স্কুলের ছাত্রী। মাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে এবিএল হাইস্কুলে। হঠাৎই মিলির নজর পড়ে অ্যাডমিট কার্ড বাড়িতে ফেলে এসেছেন। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসতে না পারার আশঙ্কায় কার্যত কেঁদে ফেলেন মিলি। তাঁর বাড়ির লোকজনও অসহায় হয়ে পড়েন।

তঁদের এই অসহায়তার কথা জানতে পেরে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন পরীক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার এক পুলিশ আধিকারিক। মিলিকে শান্তনা দিয়ে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে মিলিকে বাইকে করে মিলির বাড়ি পাঠান। এরপর মিলি বাড়ি গিয়ে অ্যাডমিড কার্ডটি তৎক্ষণাৎ নিয়ে এসে সঠিক সময়ে তাঁর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসে। নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশের এই মানবিক মুখ দেখে প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের সহযোগিতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

এবার আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপির তত্ত্বাবধানে দুর্গাপুরের সমস্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে পুলিশ পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে একটি পেন ও শুভকামনায় গোলাপ ফুল দেয়। তাছাড়া প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে একটি করে পুলিশ সহযোগিতা কেন্দ্র খুলেছে ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধা দুর করতে। দুর্গাপুরের ডিসিপি অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীরা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিচ্ছে, তাই পুলিশ বন্ধু হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে আছে।’ জানা গেছে, এবার দুর্গাপুরের ৪১ টি কেন্দ্রে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছেন ১৪১৮৯ ছাত্র-ছাত্রী। তারমধ্যে রয়েছেন ৭১৩৪ জন ছাত্র এবং ৬০৫৫ জন ছাত্রী।


Like Us On Facebook