পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে ব্যাগ খুলতেই পরীক্ষার্থীর নজরে পড়ে তিনি অ্যাডমিট কার্ড সহ অন্যান্য নথি আনতে ভুলে গেছেন, তড়িঘড়ি পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে বেড়িয়ে এসে পরিচিত কাউকে দেখতে না পেয়ে একপ্রকার ভেঙে পড়েন তিনি। একদিকে সময় চলে যাচ্ছে অন্যদিকে কি করব বুঝতে না পেরে তখন পরীক্ষার্থী একপ্রকার কান্নায় ভেঙে পড়েন। এদিকে এইভাবে পরীক্ষার্থী কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখে খবর যায় মহিলা থানায়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছান বর্ধমান মহিলা থানার আইসি। তারপর পরীক্ষার্থীর কাছে সমস্যার কথা জানতে পেরেই তড়িঘড়ি তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে তাঁর বাড়ির উদ্দেশ্যে ছোটে গাড়ি। বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় নথি নেওয়ার পরই নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন মহিলা থানার আইসি কবিতা দাস। আইসি’র উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ছাত্রীর মা কাকলী দত্ত।

কাকলী দত্ত জানান, তাঁর মেয়ে শ্রেয়া দত্ত ৩ নং ইছলাবাদ হাইস্কুল থেকে এবছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। শ্রেয়ার পরীক্ষা কেন্দ্র ৪ নং ইছলাবাদ হাইস্কুল।সোমবার ছিল ইংরেজী পরীক্ষা। বাড়ি থেকে তড়িঘড়ি বের হওয়ার সময় সে অ্যাডমিট সহ অন্যান্য নথি নিতে ভুলে যায়। পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে এটা বুঝতে পেরে সে চেষ্টা করে যদি কোনভাবে নথিগুলো বাড়ি থেকে আনতে পারে কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হতেই সে কান্নায় ভেঙে পড়ে। মহিলা থানার আইসি’র উপকার ভোলার নয়। ওনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদিও আইসি, মহিলা থানা কবিতা দাস জানান, আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করেছি, এটা আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে।তবে সময়ে ছাত্রীটিকে সহযোগিতা করতে পারায় ভালোই লাগছে।

Like Us On Facebook