দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে সোমবারে চুরি যাওয়া শিশুটিকে মঙ্গলবারও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করতে না পারায় শিশুটির পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়ে মঙ্গলবার সকালে মহকুমা হাসপাতালের নার্সদের মারধর ও হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। ভাঙচুরের খবর পেয়ে দুর্গাপুরের এসিপি বিমল কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স নামানো হয় মহকুমা হাসপাতালে।
এদিকে সোমবার মহকুমা হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনার পর মহকুমা হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশীষ হালদার। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশীষ হালদার মহকুমা হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন। জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক হাসপাতালের সিসিটিভিগুলি খারাপ থাকায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরকে সনাক্ত করার প্রক্রিয়া যে বিশ বাঁও জলে সেকথাও স্বীকার করে নেন। স্বাভাবিক ভাবেই শিশু চুরি কাণ্ডের চোর ধরতে পুলিশের তদন্তের উপরই নির্ভরশীল হতে হবে মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে প্রসূতি ও নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সম্ভাব্য সন্দেহভাজনের স্কেচ আঁকাতে চলেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, রবিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ স্টিল টাউনশিপ তিলক রোডের বাসিন্দা পাপিয়া বিবি নামের এক মহিলা প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার সকালে ৬টা নাগাদ পাপিয়া বিবি এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বলে জানিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। এরপর কোন নার্স বাচ্চাকে পোলিও খাওয়ানোর নাম করে নিয়ে যায়, তারপর থেকেই পাপিয়া বিবি আর বাচ্চাকে ফেরৎ পান নি বলে অভিযোগ করেন পাপিয়া বিবি।
এদিকে ১১ ডিসেম্বর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরের উন্নয়নের হালহকিকত জানতে সৃজনীতে প্রশাসনিক বৈঠক করতে চলেছেন। তার আগেই দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের স্বাস্থ্যের কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়ায় বিড়ম্বনায় পড়ল জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।