এবার পুলিশের মানবিক মুখ দেখল দুর্গাপুরের মানুষ। এভারেস্ট জয়ী মৃত পরেশ নাথের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন দুর্গাপুর থানার ওসি। গত বছর এভারেস্ট অভিযানে গিয়ে খারাপ আবহাওয়ার জন্য পথ হারিয়ে মারা যান দুর্গাপুরের পর্বত অভিযাত্রী পরেশ নাথ। এখনও পর্যন্ত তাঁর নিথর দেহ বাড়ি ফেরেনি। শীত শেষে আবহাওয়ার উন্নতি হলে নেপাল সরকার পরেশ নাথের দেহ এভারেস্ট থেকে নামানোর অনুমতি দেবে বলে জানা গেছে। মৃত স্বামীকে একবার চোখের দেখা দেখতে পরেশ নাথের স্ত্রী সবিতা দেবী পথ চেয়ে রয়েছেন গত মে মাস থেকে। কেউ কেউ মনে রেখেছেন আবার অনেকে ভুলে গেছেন দুর্গাপুরের গর্ব পরেশ নাথকে। প্রতিবন্ধী অভিযাত্রী পরেশ নাথ এভারেস্ট জয় করেও বাড়ি ফিরতে পারেননি কিন্তু তিনি রয়ে গিয়েছেন দুর্গাপুরের মানুষের হৃদয়ে।

পুলিশের মানবিক মুখ

সেলাই মেশিন চালিয়ে পরেশ নাথের দিন গুজরান হত। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে স্বামী আজ আর নেই। অসহায় পরিবারের পাশে দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসন থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার মৃত পরেশ নাথের জন্মদিনে দুর্গাপুর থানার ওসি কয়েকজন সহকারি ও বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে পরেশ নাথের বাড়ি গিয়ে কুড়ি হাজার টাকা আর্থিক অনুদান তুলে দেন এবং সবিতা দেবীকে সব সময় পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

আমরা কয়েক জন মিলে পরেশ নাথের স্মৃতিতে পরেশ নাথ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট তৈরি করছি যাতে ভবিষ্যতে পর্বত অভিযাত্রীদের দুঃসময়ে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি – অনির্বাণ বসু

সবিতা দেবী ওসি অনির্বাণ বাবুকে কৃতজ্ঞতা জানান। দুর্গাপুর থানার ওসি অনির্বাণ বসু বর্ধমান ডট কমকে বলেন কোন প্রচারের জন্য আমরা যাইনি এভারেস্ট জয়ী পরেশ নাথের বাড়িতে। আমরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ও মানবিক কারণে গিয়েছি। যৎসামান্য আর্থিক অনুদান দেওয়া হল শুধু অসহায় পরিবারের পাশে থাকার জন্য।

আর্থিক অনুদান দেওয়ার পাশাপাশি অনির্বাণ বসু মৃত পরেশ নাথের ছবিতে মাল্য দান করেন ও মোমবাতি জ্বালান। অনির্বাণ বাবু বলেন, “আমরা কয়েক জন মিলে পরেশ নাথের স্মৃতিতে পরেশ নাথ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট তৈরি করছি যাতে ভবিষ্যতে পর্বত অভিযাত্রীদের দুঃসময়ে অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারি।”