আজ এভারেস্ট দিবস। প্রতিক্ষার শেষদিন। এভারেস্ট জয়ী পরেশ নাথের নিথর দেহ আজ দুর্গাপুরের বাড়িতে নিয়ে আসার সম্ভবনা প্রবল। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে মৃত পরেশ নাথের ও হাওড়ার আরেক পর্বতারোহী গৌতম ঘোষের দেহ এভারেস্টের কোল থেকে রবিবার নামিয়ে আনা হয়েছে কাঠমান্ডুতে। ময়নাতদন্তের পর কাঠমান্ডু থেকে ফের বিমানে করে কলকাতা নিয়ে আসা হচ্ছে বলে খবর। সোমবার সঠিক সময়ে কলকাতা বিমান বন্দরে দেহ গুলি নিয়ে পৌঁছতে পারলে সোমবারই এভারেস্ট দিবসে পরিবারের হাতে দেহ গুলি তুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
এদিকে এক বছর পর পরেশ নাথের দেহ বাড়িতে ফেরার খবরে ভুলে যাওয়া শোক ফের মাথা চাড়া দেওয়ায় পরেশ নাথের স্ত্রী ফের শোকে মুষড়ে পড়েছেন। সরকারি উদ্যোগে দেহ আনা হলেও স্বামীর শেষকৃত্যটুকু করার সম্বলহীন সবিতাদেবী পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পরেশ নাথের শুভানুধ্যায়ীদের মুখাপেক্ষি হয়ে রয়েছেন। আর্থিক অনটনে চলা সংসার নিয়ে নাজেহাল পরেশ নাথের স্ত্রী সবিতাদেবী। পরেশ নাথের গৌরব বাঁচিয়ে রাখতে শেষকৃত্যের পর সমস্ত শোক ভুলে ক্লাস ফাইভে পড়া একমাত্র ছেলের পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাকরির খোঁজে রয়েছেন।
বর্ধমান ডট কমকে সবিতা দেবী বলেন, পরেশ নাথের দেহ সরকার ফিরিয়ে নিয়ে আসছে বলেই আমরা শেষ দেখার সুযোগ পাচ্ছি। আমি সম্বলহীন স্বামীর শেষকৃত্য করার সামর্থ্যটুকুও নেই আমার। সরকারি সিদ্ধান্তের উপরই আমি নির্ভরশীল। একই কথা বলেন পর্বতারোহি পরেশনাথের শুভানুধ্যায়ীরাও। তাঁরাও চান পরেশ নাথের দেহ আনতে যেমন সরকার উদ্যোগী হল একই ভাবে পরেশ নাথের পরিবারকে বাঁচাতে সরকার উদ্যোগী হয়ে সবিতাদেবীকে একটি চাকরির ব্যবস্থা করুক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পরেশ নাথের দেহ সৎকার ও পরিবারের কর্মসংস্থানের বিষয়ে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক তথা পশ্চিম বর্ধমানের উন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত জেলাশাসক শঙ্খ সাঁতরাকে প্রশ্ন করলে শঙ্খবাবু বলেন, দেহ আনতে সরকার সরাসরি উদ্যোগ নিয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের কাছে প্রশাসনিক যা নির্দেশ আসবে আমি সেই নির্দেশই শুধু পালন করতে পারবো।