ব্যাঙ্কের ই-অকশনের মাধ্যমে এক ব্যক্তি জমি কিনে চরম বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুরের ১৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত জি ব্লকে ০.৫ একর আয়তনের একটি জলাশয় রয়েছে। খতিয়ান নং ৪৮৯, জেএলআর নং ১১৯ ও দাগ নং হল ১২১। উক্ত দাগ নম্বরে জমিটি পুকুর হিসেবে উল্লেখ করা রয়েছে। কোন এক ব্যক্তি ওই পুকুরটিকে বাস্তু হিসেবে কাগজপত্র দেখিয়ে দুর্গাপুরের নাচন রোডের পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। পরে ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় ব্যাঙ্ক ওই ব্যক্তির কাছ থেকে জমিটি বাজেয়াপ্ত করে। পরে ব্যাঙ্ক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে ই-অকশনের মাধ্যমে জিমিটি বিক্রি করলে স্থানীয় বেনাচিতির এক বাসিন্দা ওই জমিটি কিনে নেন। এরপরে ওই ব্যাক্তি পুকুরটি ভরাট করতে গেলে স্থানীয় মানুষ পুকুর ভরাটে বাধা দেন।

এদিকে ব্যাঙ্কের বাজেয়াপ্ত করা জমি ই-অকশনের মাধ্যমে কিনে বেশ বিপাকে পড়েছেন ওই ব্যক্তি। পুকুরটি কোনভাবে ১৯৮৫ সালে বাস্তুতে পরিণত করায় সরকারি কাগজে কলমে বাস্তু জমি হলেও বাস্তবে সাধারণের ব্যবহারের পুকুরই রয়েছে। বর্তমান জমিটির মালিক পুকুর ভরাটে বাধা পেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের দ্বারস্থ হয়েছেন। ব্যাঙ্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে বাজেয়াপ্ত করা জমি অকশনের আগে ব্যাঙ্ক খতিয়ে না দেখার প্রশ্ন তুলেছেন।

একই ভাবে ১৪ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা এবং ১৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় ব্যাঙ্কের দিকেই আঙ্গুল তুলে বলেন, ‘ব্যাঙ্ক কিভাবে একটি পুকুরকে বন্ধক রেখে ঋণ দিল বুঝতে পারছি না। ঋণ গ্রহিতা ঋণ পরিশোধ করতে পারেন নি, তাই ব্যাঙ্ক পুকুরটিকে বাজেয়াপ্ত করে অন্য ব্যক্তিকে ই-অকশনের মাধ্যমে বিক্রি করে দিয়েছে। ওই ব্যক্তি পুকুরটি কিনে পুকুর ভরাট করার চেষ্টা করছেন।’ রামকৃষ্ণবাবু বলেন, ‘আমরা কোন ভাবেই পুকুর ভরাট করতে দেব না। পুকুর ভরাট তো নিষিদ্ধ। আমরা পুকুর বাঁচাতে মহকুমা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি।’ পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গেছে, ঋণ দেওয়ার সময় সার্চিংয়ে জানা গিয়েছিল জমিটি বাস্তু জমি, তাই জমি বন্ধক রেখে ব্যাঙ্ক ঋণ দিয়েছিল। দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক ডাঃ শ্রীকান্থ পাল্লী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

Like Us On Facebook