দেশের সঙ্গে সঙ্গে ফের দুর্গাপুরের মুখ উজ্জ্বল করে বুধবার সকালে ঘরে ফিরল দুর্গাপুরের দুই মেয়ে শ্রাবণী মালাকার ও শিল্পা বর্ধন। ১২-১৫ ডিসেম্বর তুরস্কে আয়োজিত তৃতীয় অ্যামেচার বিশ্ব চেস বক্সিং প্রতিযোগিতায় ৫০ কেজি বিভাগে শ্রাবণী ব্রোঞ্জ ও শিল্পা রোপ্য পদক পায়। বুধবার সকালে কালকা মেলে দুর্গাপুরের এই দুই মেয়ে ঘরে ফিরলে তাদের অভ্যর্থনা জানাতে দুর্গাপুর রেলস্টেশনে যান দুর্গাপুর পুরসভার ৪ নং বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায়, কাউন্সিলর শিপূল সাহা সহ শ্রাবণী ও শিল্পার আত্মীয়রা। এই খেলায় একই সঙ্গে দাবা ও বক্সিং শিখতে হয় প্রতিযোগীদের। এক রাউন্ড বক্সিং, পরের রাউন্ডে রিংয়ের মধ্যেই দাবা – এটাই খেলার নিয়ম।

শ্রাবণী মালাকার দুর্গাপুরের ৪৩ নং ওয়ার্ডের রায়ডাঙার বাসিন্দা। মা বাড়ি বাড়ি পারিচারিকার কাজ করেন। বাবা লটারি বিক্রি করে সংসার চালান। আর শিল্পা দুর্গাপুরের ধোবীঘাটের বাসিন্দা। শিল্পার বাবা বাস কর্মী। দুর্গাপুরের এই দুই মেয়ের সংসারে যেখানে নুন আনতে পান্তা ফুরায় সেখানে জাতীয় পর্যায়ে সাফল্যের আন্তর্জাতিক চেস বক্সিং প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার সুযোগ পান শ্রাবণী ও শিল্পা। কিন্তু অর্থের অভাবে তুরস্ক যাত্রা কার্যত বন্ধ হতে বসে। অভাব সরিয়ে মনের অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে ভর করে দুর্গাপুরের এই মেয়ের মহকুমা থেকে জাতীয় স্তরে সাফল্য দেখে তুরস্ক যাত্রায় পাশে দাঁড়ান ৪ নং বরো চেয়ারম্যান চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে দুর্গাপুরের মেয়র দিলীপ অগস্তি, মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে সহ অনেকেই। আন্তর্জাতিক চেস বক্সিং প্রতিযোগিতায় দুর্গাপুরের দুই মেয়ে শ্রাবণী ও শিল্পা পদক জিতে ফের দেশের সঙ্গে সঙ্গে দুর্গাপুরের মুখ উজ্জ্বল করল।




Like Us On Facebook