চিনের পর ইরানেও হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস। সংক্রমণের আশঙ্কায় চিনের পর এবার ইরান থেকেও বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। বিমান বাতিল হয়ে যাওয়ায় ইরানে আটকে পড়েছেন দুর্গাপুরের এক ইঞ্জিনিয়ার। বাড়ি ফিরতে না পারায় বাড়ির লোকজনও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। ছেলেকে বাড়ি ফেরাতে ওই ইঞ্জিনিয়ারের বাবা-মা স্থানীয় কাউন্সিলরকে সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের দারস্থ হলেন। মহকুমাশাসক ছেলেকে দেশে ফেরানোর সব রকম আশ্বাস দেওয়ায় স্বস্তিতে ইন্জিনিয়ারের বাবা মা।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের ২০ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত অরবিন্দপল্লীর বাসিন্দা বিকাশ দাস কর্মসূত্রে ইরানের পারন্দ শহরে থাকেন। বিকাশ দাস সহ ১৫ জন ভারতীয় এবং পাকিস্তান ও নেপালের বেশ কয়েকজন সহ মোট ২৫ জন পারন্দ শহরের একটি ফ্লাটে থাকেন। চীনের পর ইরানেও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইরানের তেহরান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আপাতত সমস্ত বিমান পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তাই বিমান বাতিল হয়ে যাওয়ায় ইরান থেকে বাড়ি ফিরতে পারছেন না বিকাশ দাস। বিকাশবাবু সহ ২৫ জন ইরানের পারন্দ শহরের ওই ফ্ল্যাটে আটকে পড়েছেন।
জানা গেছে, তাঁদের খাবার-দাবারও প্রায় শেষ। বাড়ির বাইরেও বিকাশবাবুরা বের হতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন ফোনে। চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন একদিকে বিকাশ দাস অপরদিকে বিকাশবাবুর বাবা, বিষ্ণুপদ দাস ও মা, রীনা দাস সহ পরিবারের অন্যান্যরা। মঙ্গলবার ছেলেকে বাড়ি ফেরানোর আর্জি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর রমাপ্রসাদ হালদার ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের বিষয়টি বিকাশ দাসের বাবা-মা জানালে বিকাশ দাসকে বাড়ি ফেরানোর বিষয়টি দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলের কানে পৌঁছায়। মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে তড়িঘড়ি বিকাশ দাসের বাবা-মা ও ইরানে আটকে পড়া বিকাশ দাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং তাঁদের ফিরিয়ে আনার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্র সরকারার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘আমি রাজ্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরানে আটকে পড়া দুর্গাপুরের বাসিন্দা বিকাশ দাসকে ফেরানোর চেষ্টা করছি। বিকাশ দাসের সঙ্গে অন্যান্য ভারতীয়দের ফেরানোর বিষয়টিও দেখার জন্য ভারত সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য রাজ্য সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।’