অবাধ্য পালিতা কন্যার খেলা বন্ধ করতে গলায় শিকল পরিয়ে গত এক সপ্তাহ গোয়াল ঘরে বন্দী করে রাখার অভিযোগ পালিতা মায়ের বিরুদ্ধে। নির্মম এই ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের আমরাই-এর পূর্বাচল আবাসনে। শেষমেশ পড়শীদের তৎপরতায় পুলিশ এসে বন্দী দশা ঘুঁচিয়ে গলার শিকল খুলে দশ বছরের কিশোরীকে থানায় নিয়ে যায়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়াল। পড়শীরা নির্যাতিতা কিশোরীর পালিতা মা-বাবা সহ গোটা পরিবারের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোমবার সরব হয়। নির্মম এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দুর্গাপুরের শিল্পাঞ্চল জুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আমরাই পূর্বাচল আবাসনের মহেন্দ্র নুনিয়া ও মালতি নুনিয়া, স্বামী-স্ত্রী উভয়েই ইসিএলে কর্মরত। মহেন্দ্র ও মালতির চার পুত্র সন্তান রয়েছে। পড়শীরা জানায় এক মাত্র কন্যা নেহা নুনিয়া নাকি মহেন্দ্র ও মালতি দেবীর পালিতা কন্যা।
অভিযোগ, চার পুত্র মায়ের স্নেহ পেলেও পালিতা কন্যা নেহার প্রতি বৈমাতৃক আচরণ করত মালতি দেবী। মালতিদেবীর প্রত্যেকদিন নিত্যনতুন অত্যাচারের শিকার হতে হয় নেহাকে। পড়াশোনা ও খাওয়া দাওয়া আগেই বন্ধ হয়েছে এবার বাড়ি থেকে বেরোনোও বন্ধ করতে গলায় শিকল পরিয়ে তালা বন্ধ করে গোয়াল ঘরে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে বেঁধে রেখে দেওয়া হয় নেহাকে। অবুঝ নেহার অপরাধ সে বাড়িতে কাজ না করে খেলতে চায়। কালী পুজোর আনন্দে যখন সকলেই মাতোয়ারা তখন গোয়াল ঘরে বন্দি ছোট্ট নেহা। পড়শীরা ছোট্ট নেহাকে সোমবার আবিস্কার করে নুনিয়াদের গোয়াল ঘর থেকে। এর পরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে উদ্ধার করে নেহাকে।