আন্তর্জাতিক স্তরে ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় দুর্গাপুরের ছেলে-মেয়েরা উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে এক গুচ্ছ পদক পেয়ে দুর্গাপুরের মুখ ফের উজ্জ্বল করল। পঞ্চায়েতি যুব ক্রীড়া খেল অ্যাসোসিয়েশন ও গোদাবরী দোজোর যৌথ উদ্যোগে চলতি মাসে কাঠমান্ডুর ন্যাশনাল স্পোর্টস কাউন্সিলে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় ভারতের ১৯ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। ভারতের ছেলে-মেয়েরা কাতা ও কুমি উভয় বিভাগেই আন্তর্জাতিক স্তরে নিজদের যোগ্যতা প্রমাণ করে ৭টি সোনা, ৮টি রুপো, ১৩টি ব্রোঞ্জ পদক জেতে। এর মধ্যে দুর্গাপুরের ছেলে-মেয়েরা উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে বেশীরভাগ পদক ঘরে তোলে।
এই প্রতিযোগিতায় উল্লেখ্যযোগ্য পারফরম্যান্স দেখিয়ে সোনা জিতেছে মৃন্ময় চট্টোপাধ্যায়, প্রতাপ সরকার, শ্রীজিতা বিশ্বাসরা। দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গীর মেয়ে দেবলীনা পাল সোনা ও রুপো উভয় পদক জিতেছে আবার দুর্গাপুরের বেনাচিতির অ্যাপেক্স স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী কৃতি আগরওয়াল সোনা, নবম শ্রেণির ছাত্র সোয়েৎ রাজ রুপোর পদক, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী দীক্ষা গুপ্তা ব্রোঞ্জ ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী অনন্যা শর্মা ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে। কৃতি আগরওয়াল, সোয়েৎ রাজ, দীক্ষা গুপ্তা ও অনন্যা শর্মাদের ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেন অ্যাপেক্স স্কুলের ক্যারাটে প্রশিক্ষক পরীক্ষিৎ বণিক ও প্রণব পাল।
দুর্গাপুরের অ্যাপেক্স স্কুলের প্রধান ও বিশিষ্ট ক্যারাটে প্রশিক্ষক উত্তম বণিক বলেন, ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সোতোকান ক্যারাটের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ১৯ জন প্রতিযোগীর সফলতার পিছনে রয়েছে কঠোর ও একনিষ্ঠ প্রশিক্ষণ। উত্তমবাবু বলেন, কেবলমাত্র প্রতিযোগিতায় পদক জিততে নয় বর্তমান অবক্ষয়ের সময়ে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নেওয়ার প্রয়োজন আছে। উত্তমবাবু আক্ষেপ করে বলেন, অনেক নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে-মেয়েই উপযুক্ত ক্যারাটে প্রশিক্ষণ পেয়েও কেবলমাত্র অর্থের অভাবে আন্তঃরাজ্য বা আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারছে না। বিভিন্ন ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণের পূর্বে যখন এই সব দুঃস্থ ছেলে-মেয়েদের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজন হয়ে পড়ে তখন কেউ এই সব দুঃস্থ ছেলে-মেয়েদের পাশে দাঁড়ায় না। স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রতিভাবান ছেলে-মেয়ের স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনাশ হয়ে যাচ্ছে।