যে ভাবে সাহিত্য উপন্যাস পাইরেসি হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাতে আমাদের কিছু করার নেই। শনিবার দুর্গাপুর পুরসভার উদ্যোগে দুর্গাপুরের সিধু-কানু ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বইমেলার উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে একথা অকপটে স্বীকার করলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সাহিত্য উপন্যাস নিয়ে বাংলাদেশের একটি প্রকাশক সংস্থার উদ্যোগে একটি ওয়েবসাইট আছে যেখানে নির্দিষ্ট নিয়মে সাহিত্য উপন্যাস পড়তে পারে সাহিত্য প্রেমী মানুষ। কিন্তু আমাদের দেশে এখনও সেই ব্যবস্থা হয়নি। আমাদের প্রকাশক সংস্থাগুলিকে এই বিষয়ে আরো উদ্যোগী হতে হবে। দুর্গাপুর শিল্প সাহিত্য উপন্যাসের বিচরণ ক্ষেত্র। স্বাভাবিকভাবেই এই শহরে অনেক আগে বই মেলা অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও বইমেলা শুরু হয়েছে এটা খুব ভালো খবর।’ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আগে সাহিত্য উপন্যাস নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে আমি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও নীরেন চক্রবর্তী দুর্গাপুরে এসেছি।’
এদিন সিধু-কানু ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বই মেলার উদ্বোধন করেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও মন্ত্রী মলয় ঘটক। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক মানব চক্রবর্তী সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় সহ বিশিষ্ট লেখক-সাহিত্যিকদের এদিন সম্মানিত করা হয় দুর্গাপুর পুরসভার পক্ষ থেকে। বইমেলার উদ্বোধন উপলক্ষে সৃজনী পেক্ষাগৃহের সামনে থেকে সিধু-কানু ইন্ডোর স্টেডিয়াম পর্যন্ত ‘বই এর জন্য হাঁটুন’ শ্লোগানকে সামনে রেখে পদযাত্রা হয়। পদযাত্রায় সমাজের কবি সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবী সহ বিভিন্ন পেশার বইপ্রেমী মানুষজন অংশ নেন। জানা গেছে, বই মেলায় ৬০ টি স্টলে বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা বইয়ের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছে। তারমধ্যে দুটি হিন্দি বইয়ের স্টলও রয়েছে। বইমেলা চলবে ২৮ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন দুপুর ১২ টো থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে।