দুর্গাপুরের বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী অরুণ পালের ওয়ার্কশপে এই মুহুর্তে ব্যস্ততা তুঙ্গে। এখানেই তৈরি হচ্ছে দুর্গাপুরের নামকরা সব পুজো মণ্ডপের দুর্গা প্রতিমা সহ পানাগড়, মাইথন, ধানবাদের মোট ৩৫ টি সেরা মণ্ডপের নজরকাড়া দুর্গা প্রতিমা।
বেনাচিতির নিবেদিতা প্লেসের ওয়ার্কশপে গেলে দেখা মিলবে দুর্গাপুরের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব নবারুণের অজন্তা ইলোরার আদলে মার্বেল ডাস্টের মূর্তি, মার্কনির নারী শক্তির আবির্ভাবের মৃন্ময়ী মূর্তি, তেমনই চতুরঙ্গ সার্বজনীন পুজো কমিটির দুর্গাশিব অনুকরণে মৃন্ময়ী মূর্তি ও অগ্রণী সাংস্কৃতিক পরিষদের সাবেকী দুর্গা প্রতিমা।
২২ জন কৃষ্ণনগরের শিল্পী দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন দুর্গাপুর সহ আশেপাশের সেরা মণ্ডপগুলিতে নজরকাড়া দুর্গা প্রতিমা পুজো কমিটির হাতে মহালয়ার আগেই তুলে দিতে। কৃষ্ণনগরের বিশিষ্ট শিল্পী গোপাল পাল, রবীন্দ্রনাথ পাল, ভোলা দাস, রাজীব সরকারদের তাই এখন রাতের ঘুম উড়ে গেছে।
এই অক্লান্ত পরিশ্রম করে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন ক্লাব ও পুজো কমিটিকে লক্ষ লক্ষ টাকার প্যান্ডেলে সেরা সেরা প্রতিমার পুরস্কার পেতে সাহায্য করছেন এই অরুণ পালের কারখানার শিল্পীরা। কিন্তু তাদের কপালে আজ পর্যন্ত কোন পুরস্কার, সংবর্ধনা বা আর্থিক সাহায্য জোটেনি বলে আক্ষেপ শিল্পী অরুণ পালের। অরুণবাবু বলেন, ‘প্রশাসন বা দুর্গাপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে আজ পর্যন্ত মৃৎশিল্পীদের সম্মানিত করার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’ অরুণবাবু আক্ষেপ করে বলেন, ‘আমরা মূর্তি তৈরি করি রুজি রোজগারের জন্য। পুজো কমিটি থেকে বাড়তি সম্মান পাওয়ার আসাই করি না। সর্বত্র দুর্গা পুজোয় প্রতিমা শিল্পীদের সম্মানিত করা হলেও কেবলমাত্র দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল তার ব্যতিক্রম।’