দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে বৈধ স্ত্রী চিকিৎসক স্বামীর মৃতদেহ ফিরে পেলেন। জানা গেছে বাঁকুড়ার গৌরিপুর কুষ্ঠ হাসপাতালের মুখ্য চিকিৎসক ডাঃ শিবশংকর সর্দার গত ১ মার্চ বাঁকুড়ায় পথ দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। প্রথমে বাঁকুড়া হাসপাতাল ও পরে দুর্গাপুরের রাজবাঁধে গৌরিদেবী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শিবশংকর বাবুর অস্ত্রোপচার হয় এবং তারপর তিনি কোমায় চলে যান। শিবশংকর বাবুকে ভর্তির সময় তাঁর স্ত্রী এবং বোনের পরিচয়ে কেউ বা কারা ভর্তি করেন।
এদিকে খবর পেয়ে কলকাতা থেকে শিবশংকর বাবুর স্ত্রী কলি সর্দার গৌরিদেবী হাসপাতালে ছুটে আসেন এবং নিজের পরিচয় দেন বলে জানা গেছে। বৈধ পরিচয় ও প্রমানপত্র থাকা সত্বেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ সন্দিহান হয়ে প্রথমে শিবশংকর বাবুকে দেখতে না দিলেও পরে নামমাত্র দেখতে দেয় বলে দাবি কলিদেবীর। কাঁকসা থানার পুলিশ প্রথমে এই বিষয়ে কলিদেবীকে অসযোগিতা করে বলে কলিদেবীর অভিযোগ। ইতিমধ্যে শিবশংকর বাবু মারা যান। কলিদেবী স্বামীর নশ্বর দেহ ফিরে পেতে নিজের বৈধ কাগজ পত্র নিয়ে ফের বাঁকুড়া ছুটে যান পুলিশের কাছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে বলে সূত্র মারফৎ জানা গেছে। একই সঙ্গে কলিদেবী দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরার সাথেও যোগাযোগ করেন। মহকুমাশাসকের নির্দেশে কাঁকসা থানার পুলিশ নড়ে চড়ে বসে এবং রবিবার পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে কলিদেবীর পরিচয় ও প্রমাণপত্র সরজমিনে তদন্ত করে কলিদেবীর হাতে চিকিৎসক স্বামীর মৃতদেহ তুলে দেন।
কলিদেবী বর্ধমান ডট কম কে বলেন, ‘দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সহযোগিতা না করলে আমি আমার মৃত স্বামীর দেহ আজ ফিরে পেতাম না। হাসপাতাল ও কাঁকসা থানার পুলিশ উভয়েই প্রথমে আমার সাথে চুড়ান্ত অসহযোগিতা করেছে। মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপের পরে উভয়েই সহযোগিতা করে আমার মৃত স্বামীর দেহ ময়না তদন্ত করে আমাকে ফিরিয়ে দেয় সৎকারের জন্য। মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘এক চিকিৎসকের মৃত দেহ নিয়ে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছিল গৌরিদেবী হাসপাতালে। কাঁকসা থানার পুলিশ কে নির্দেশ দেওয়ায় পুলিশ বৈধ স্ত্রীর প্রমানপত্র খতিয়ে দেখে মৃতদেহ বৈধ স্ত্রীর হাতে আজ তুলে দেয়।’