দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় দুর্গাপুর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের বিগত বোর্ডের ৩৮ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজের ওয়ার্ড ফের আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিজের দখলে রাখতে অরবিন্দ নন্দী তাঁর স্ত্রী সুনীতা নন্দীকে নির্দল প্রার্থী করতে মঙ্গলবার মনোনয়ন পত্র তোলান।
৩৮ নং ওয়ার্ড থেকে গত পৌর নির্বাচনে অরবিন্দবাবু তৃণমূলের দলীয় টিকিট না পাওয়ায় দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নির্দল প্রার্থী হিসাবে জিতে ফের তৃণমূলে যোগ দেন। এবার ৩৮ নং ওয়ার্ডটি মহিলা সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় অরবিন্দ নন্দীকে অন্য আসনেও দল প্রার্থী করেনি। আগের বারের মতো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় আসন্ন পুরভোটে ফের দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে অরবিন্দ নন্দী ৩৮ নং ওয়ার্ডে নিজের দলীয় প্রার্থী আলো সাঁতরাকে পরাস্ত করতে সপার্ষদ মঙ্গলবার দুর্গাপুর মহকুমা কার্যালয় থেকে স্ত্রী সুনীতা নন্দীকে দিয়ে নির্দলের মনোনয়ন পত্র তোলান।
অরবিন্দ বাবু ক্ষোভের সঙ্গে বলেন আসানসোলের তৃণমূলের নেতাদের পায়ের খেলার বল হতে না চাওয়ায় এলাকার উন্নয়নের ধারাকে ধরে রাখতে স্ত্রী সুনীতা নন্দীকে নির্দল প্রার্থী করল এলাকর মানুষ। সুনীতা দেবীর জয় সুনিশ্চিত দাবি করে আসানসোলের তৃণমূলের নেতাদের মদতে দুর্গাপুরে যে নোংরা রাজনীতি চলছে তার শিকার হতে চাই না বলে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ উগরে দেন এই শাসক দলের তরুণ তুর্কী নেতা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে মঙ্গলবার দলের টিকিট না পেয়ে যেভাবে শাসকদলের করিতকর্মা কাউন্সিলার অরবিন্দ নন্দী তাঁর ওয়ার্ডের দখল রাখতে স্ত্রীকে নির্দলের টিকিটে গোঁজ প্রার্থী করল, এই ভাবে টিকিট না পাওয়া কাউন্সিলররা যদি একই পথ অনুসরণ করেন সেক্ষেত্রে শাসকদলের কাছে বিরোধী শিবিরের থেকে পৌর নির্বাচনে নিজেদের লোকদের কাছে লড়াইটা অনেকটা শক্ত হবে একথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
সূত্রের খবর দল বদল করা কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালের স্ত্রী রুমা পাড়িয়াল সহ তাঁর অনুগামীদের আসানসোল নেতৃত্বের কথায় তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব ঘরে ফেরানো এবং ৩৬ থেকে ৪৩ নং ওয়ার্ড গুলিতে তৃণমূল অরবিন্দ নন্দীর অপচ্ছন্দের প্রার্থী করায় ক্ষোভে ফেটে সদ্য প্রাক্তন কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী গোঁজ প্রার্থী করতে নির্দল টিকিটে তাঁর অনুগামীদের দাঁড় করিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের পরাজয় সুনিশ্চিত করতে চায়।