জামালপুরের বিষ্ণুবাটি গ্রামের প্রায় ৪০ জন বাসিন্দা পেটের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য গ্রামে মেডিকেল টিম পাঠানো হয়েছে। বাসিন্দাদের পুকুর ও টিউবওয়েলের জল ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য গ্রামে রয়েছে একটি পুকুর ও ৯টি পানীয় জলের কল। পুকির আর ওইসব কলের জলেই বাসা বেঁধেছে ব্যাকটেরিয়া। ওই কলের জল খেয়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বিষ্ণুবাটি গ্রামের আদিবাসী মহল্লার বাসিন্দারা একের পর এক ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন দুবেলা গ্রামে গিয়ে অসুস্থ মানুষজনের চিকিৎসা করছে মেডিকেল টিম। এই অবস্থা থেকে নিষ্কৃতি পেতে দ্রুত বিশুদ্ধ পানীয় জলের গভীর নলকূপ বসানোর দাবিতে সরব হয়েছেন এখানকার আদিবাসী মহল্লার বাসিন্দারা।
জামালপুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিএমওএইচ ডাঃ আনন্দ মোহন গড়াই জানিয়েছেন, ডাইরিয়া আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ১২ জনের চিকিৎসা করা হয়েছে হাসপাতালে। গ্রামে এখনও ২৫-৩০ জন আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এলাকায় ব্লিচিং ছড়ানো সহ অন্যান্য প্রতিষেধক ব্যবস্থা যা কিছু নেওয়ার সবই নেওয়া হয়েছে। বিএমওএইচ বলেন, ওই এলাকার পুকুরটির জল ব্যবহারের অযোগ্য। আদিবাসী মহল্লায় যে টিউবওয়েলগুলি রয়েছে সেই টিউবওয়েল গুলির জলেও মিলেছে ব্যাকটেরিয়া (কলিফর্ম)। ডাঃ আনন্দমোহন গড়াই বলেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে কলের জল থেকেই ডায়রিয়া সংক্রমণ হচ্ছে।
বিডিও সুব্রত মল্লিক জানিয়েছেন, বিষ্ণুবাটি গ্রামে পানীয় জলের যোগান দেওয়া হচ্ছে। যে ৯ টি কলের জলে ব্যকটেরিয়া মিলেছে সেই কলগুলির জল ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। ওই কলগুলি ব্যবহারের অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বিডিও জানিয়েছেন, বিষ্ণুবাটি মৌজা এলাকায় নতুন করে ৮ টি ডিপ টিউবওয়েল বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।