দুর্গাপুরের এক শিশুর ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবরে শহরে ফের ডেঙ্গির আতঙ্ক ছড়াল। বি-জোন ভারতীর বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ঋষি দাশগুপ্তের ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর শহরে চাউর হতেই শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। জানা গেছে দুর্গাপুর নগর নিগমের ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ মণি দাশগুপ্তের আত্মীয় ছিল ঋষি।
গত তিনদিন ধরে ঋষি জ্বরে আক্রান্ত ছিল। গত কাল তাকে দুর্গাপুর আই কিউ সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হয়ে আজসকালে ঋষি মারা যায়। এই খবর জানার পর মেয়র পারিষদ মণিদেবী শোক সামলাতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ পুরানো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিতে আস্বীকার করায় সমস্যায় পড়েন ঋষির পরিবার। পরিবার নতুন নোটের ব্যবস্থা না করতে পারায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ ঋষির দেহ আটকে রাখে বলে অভিযোগ। এরপর দুর্গাপুর মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপে দেহ ছাড়তে বাধ্য হয় আই কিউ হাসপাতাল।
দুর্গাপুর নগর নিগমের স্বাস্থ্য দপ্তরের মেয়র পারিষদ লাভলি রায় বলেন,”হাসপাতাল কতৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। আমার সন্দেহ রয়েছে এটা ডেঙ্গি কিনা, কিভাবে তিনদিনের জ্বরে কেউ মারা যেতে পারে। চিকিৎসার গাফিলতি রয়েছে কিনা আমরা খোঁজ নিচ্ছি। একটা শিশুর অকাল প্রয়াণ হয়ে গেল, এটা খুব দুঃখের বিষয়। হাসপাতালের ল্যাব টেস্ট নিয়েও আমার সন্দেহ রয়েছে। গত কালও হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানায়নি রোগির ডেঙ্গি হয়েছে। শিশুটির অকাল মৃত্যুর পরেও হাসপাতাল কতৃপক্ষ পুরানো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিতে চায়নি। আমরা বাধ্য হয়ে মহকুমাশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলাম। ওনার হস্তক্ষেপে মৃতদেহ ছাড়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক শঙ্খ সাঁতরা বলেন,”একটি শিশুর অকাল প্রয়াণের পর হাসপাতাল কতৃপক্ষ মৃতদেহ ছাড়েনি। পুরানো ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। আমি ফোন করার পর বাধ্য হয়ে মৃতদেহ ছাড়ে। আমি হাসপাতাল কতৃপক্ষের এই আচরণে খুব ব্যথিত। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।”