কাঁকসার আদিবাসী সম্প্রদায়ের সেবায় নিয়োজিত সেচ্ছাসেবী সংস্থা বনাঞ্চল ফাউন্ডেশনের অন্যতম সদস্যা দেবলীনা দত্ত নয়ডার অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি থেকে মেডিক্যাল ফিজিওলজি বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণ পদক পেলেন। দেবলীনা দত্ত দুর্গাপুরের এবিএল টাউন শিপের বাসিন্দা, বাবা শঙ্করবরণ দত্ত ও মা শ্বাশতি দত্ত। বাবা বেসরকারি কারখানার প্রাক্তন কর্মী।
বিধাননগরের সেন্ট মাইকেল স্কুল থেকে পড়াশোনা করার পাশাপাশি স্কুল জীবন থেকেই দেবলীনা কাঁকসার আদিবাসী মানুষের সেবায় কাজ করে আসছেন বলে দেবলীনার পরিবার সূত্রে জানা গেছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সেবা করার পাশাপাশি দেবলীনা দত্ত উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য অ্যামিটি ইউনিভার্সিটিতে মেডিক্যাল ফিজিওলজি বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৫-২০১৮ শিক্ষাবর্ষে দেবলীনা দত্ত পুরো ইউনিভার্সিটিতে মেডিক্যাল ফিজিওলজি বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণ পদক পান। অ্যামিটি ইউনিভার্সিটির কনভোকেশনে দেবলীনাকে স্বর্ণ পদক দিয়ে সম্মানিত করে কর্তৃপক্ষ।
দেবলীনা দত্ত বর্ধমান ডটকমকে বলেন, ‘আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সেবায় জেঠিমা অন্নপূর্ণা ঘোষ ও দাদা কল্যাণ আশীষ ঘোষ নিবেদিত প্রাণ। বনাঞ্চল ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা সারা বছর ধরেই কাঁকসার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কাজ করে আসছেন। জেঠিমা ও দাদার কাছ থেকেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে সেবা করতে শিখেছি। উচ্চতর শিক্ষা সম্পূর্ণ হলেই আমি ফের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করব।’ দেবলীনার ইচ্ছা, শরীর বিজ্ঞানে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করা। দেবলীনার সাফল্যে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের মুখে যেমন হাসি ফুটেছে তেমনই বনাঞ্চল ফাউন্ডেশনের সদস্যরা সহ শিল্পাঞ্চলের মানুষজনও খুশির কথা জানান।