দুর্গাপুরের এক নাচের শিক্ষককে ছাত্রী অপহরণের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করল। এই খবর চাউর হতেই শিল্পাঞ্চল জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ ঝাড়খণ্ডের দুমকা থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরিবারের হাতে তুলে দেয়।
জানা গেছে, দুর্গাপুরের মুচিপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ হুসেন দুর্গাপুরের আড়রা এলাকায় গত একবছর ধরে নাচের স্কুল চালাচ্ছিল। স্থানীয় বেশ কিছু ছাত্রী ওই নাচের স্কুলে মহম্মদ হুসেনের কাছে নাচ শিখতে যেত। অভিযোগ, ওই শিক্ষক গত ১২ নভেম্বর আড়রা এলাকার বাসিন্দা এক ছাত্রী ও তার বান্ধবীকে কলকাতায় নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাওয়ার নাম করে সোজা বীরভূমে নিয়ে গিয়ে তোলে। সেখান থেকে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় নিয়ে যায় মুর্তাজা আনসারি নামে এক যুবকের বাড়িতে। এদিকে যোগাযোগ করতে না পেরে ওই দুই ছাত্রীর পরিবার থানায় নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন।
অপহৃত এক ছাত্রীর বাবা বলেন, দুই স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে সারাদিনে একবার মাত্র খেত দিয়ে জোর করে আটকে রেখেছিল ওই নাচের শিক্ষক। ১৫ নভেম্বর এক স্কুল ছাত্রী সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসে দুর্গাপুরে। সে পালিয়ে এসে বাবা-মাকে নাচের শিক্ষকের সব কীর্তি জানায়। এরপর পুলিশ সূত্র মারফৎ খবর নিয়ে শুক্রবার ভোরে দুমকা থেকে নিখোঁজ স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে মহম্মদ হুসেনকে গ্রেফতার করে। নাচের শিক্ষক মহম্মদ হুসেনকে পুলিশ শুক্রবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে। উদ্ধার হওয়ার পর ওই স্কুল ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, আমার মেয়ে ও তার বান্ধবীকে বিক্রি করার জন্য নাচের শিক্ষক ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। মেয়েদের মধ্যে একজন পালিয়ে আসে। আমার মেয়েকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। আমি নাচের শিক্ষকের চরম শাস্তি চাইছি।