এবার দুর্গাপুর পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা আইএনটিটিইউসির দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের প্রাক্তন সভাপতি প্রভাত চ্যাটর্জীর নামে কাটমানি ফেরৎ দেওয়ার দাবিতে পোস্টার পড়ল দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায়। এই ঘটনায় শিল্পাঞ্চল জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বুধবার সকালে প্রাতভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয় মানুষের নজরে পড়ে পোস্টারগুলি।
জানা গেছে, পোস্টারগুলি স্টিল টাউনশিপের হর্ষবর্ধন রোডের হেল্থ সেন্টার, বেনাচিতি পোস্ট অফিসের কাছের দেওয়ালে দেখা যায়। পোস্টারগুলিতে দুর্গাপুরের পুরসভার মেয়র পারিষদ তথা শ্রমিক নেতা প্রভাত চ্যাটার্জীকে চাকরির বিনিময়ে নেওয়া কাটমানি ফেরৎ দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। কেবলমাত্র প্রভাত চ্যাটার্জীই নন, তাঁর সহযোগী হিমাংশু আঁশ, আজিমুদ্দিন, সাহাবুদ্দিনের নামেও একই পোস্টারে কাটমানি ফেরৎ ও উপযুক্ত আইনী শাস্তির দাবি করা হয়েছে। সর্বশেষে লেখা হয়েছে তৃণমূল কর্মী বৃন্দ। যদিও এই বিষয়ে আইএনটিটিইউসি নেতা প্রভাত চ্যাটার্জী বলেন, ‘প্রথমত আমি এই ধরনের অভিযোগকে গুরুত্ব দিচ্ছি না। আসলে এটা বোঝা যাচ্ছে যে আমার সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করার ক্ষমতা নেই যাদের, তাঁরাই এইসব নোংরা কাজ করছে। বিজেপি, সিপিএম মিলিতভাবে এইসব কাজ পরিকল্পনা করেই করেছে আর তৃণমূল কর্মীবৃন্দের নামে পোস্টার দিচ্ছে।’ প্রভাতবাবু বলেন, ‘আমি এখন এএসপি কারখানার বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মসূচিতে লড়াই করছি। অবস্থান বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। অবস্থান বিক্ষোভ শেষ হলে আমি নিজে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করব। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এইসব জঘন্য কাজ করছে।’
প্রভাত চ্যাটার্জীর নামে কাটমানি ফেরৎ দেওয়ার পোস্টার নিয়ে প্রশ্ন করলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিজেপি সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, ‘পরিবর্তনের পর মানুষের কাছ থেকে রাজ্য জুড়ে নেতারা যেভাবে কাটমানি নিয়েছে, ভাগবাটোয়ারা ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেছে আজ পরিবর্তনের হাওয়া বইতে শুরু করায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নেওয়া কাটমানি ফেরৎ চাইছে ভুক্তভোগী বাংলার মানুষ। তার জের শুরু হয়েছে দুর্গাপুরেও। এই ধরনের ঘটনা সঙ্গে বিজেপি যুক্ত নয়। এটা তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল।’
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?