মহকুমা হাসপাতালের সুপার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন মহকুমা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসা সত্বেও সেই রিপোর্ট চেপে দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল কতৃপক্ষের বিরূদ্ধে। হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দাস ও সহকারী সুপারের বিরূদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক ও নার্সদের। অভিযোগ, প্রসূতি বিভাগে ভর্তি এক রোগীর কোভিড পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর প্রায় ১৭ ঘন্টা হয়ে গেলেও ওই মহিলাকে বিশেষ কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় নি। কার্যত চরম বিভ্রান্তি ও আতঙ্কে ভুগছেন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক, নার্স সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোভিডের মত সংক্রামক রোগকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না সুপার, এই অভিযোগে কর্মবিরতি করলেন প্রসূতি বিভাগের ৭জন ডাক্তার, ১৪ জন নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রসূতি বিভাগের দু’জন মহিলা চিকিৎসকের বাড়িতে ছোট শিশু আছে, তাঁরা সুপারের এহেন আচরণে চরম আতঙ্কিত বলে জানান।

জানা গেছে, ৭ জুলাই স্ত্রী রোগ সংক্রান্ত বিষয়ে এই মহিলা ভর্তি হয়েছিল মহকুমা হাসপাতালে। মহকুমা হাসপাতালেরই করোনা আক্রান্ত এক মহিলা চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা করেন। ফলে ওই মহিলারও লালারস পরীক্ষা হয়। যার রিপোর্ট গতকাল পজিটিভ এসেছে। এদিন বেলা ১টা নাগাদ হাসপাতালে আসেন সুপার দেবব্রত দাস। তিনি জানান, প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দুর্গাপুর নগরনিগমের পক্ষ থেকে হাসপাতাল চত্বর স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডা. দেবব্রত দাস প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসকদের কর্মবিরতি কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘আক্রান্ত একজন সদ্য প্রসূতি। বাচ্চার মা। তাই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে আক্রান্ত রোগীকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

করোনার সংক্রমণ যখন প্রবল গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তখন সরকারি হাসপাতালের এই চিত্র দেখে চিকিৎসকদের সঙ্গে সঙ্গে রোগীরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের সঙ্গে সঙ্গে রোগীদের পরিজনরাও প্রশ্ন তুলেছেন কোভিড পজিটিভ রোগীকে কেন তৎপরতার সঙ্গে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হল না।

Like Us On Facebook